জিতলেও ঐকমত্যের সরকার গঠন করবে হামাস

তুরস্ক এবং মিসরের মধ্যে পুনর্মিলন প্রচেষ্টার প্রশংসা করে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা ফিলিস্তিনিদের জন্য কল্যাণকর। ফিলিস্তিনে মে মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে জয় পেলেও তার দল ঐকমত্যের সরকার গঠন করবে বলে জানান তিনি।

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া, ফাইল ছবি

তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে হানিয়া বলেন, ‘আমরা তুরস্ক ও মিসরের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে স্বাগত জানাই। আমরা বিশ^াস করি, তাদের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে এবং আরব ও ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে এটি ফিলিস্তিনি এবং আরব দেশগুলোর ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

তুরস্ক, মিসর, ইরান এবং সৌদি আরবকে এ অঞ্চলে কৌশলগত ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে যে কোনো ধরনের সমঝোতা ফিলিস্তিন এবং এ অঞ্চলের জনগণের স্বার্থের জন্য কল্যাণকর হবে।

হামাস প্রধান বলেন, এর বিপরীতে, আরব এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সঙ্ঘাত পুরো মুসলিম উম্মাহর সক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, ফিলিস্তিনিদের স্বার্থের জন্য ক্ষতি ডেকে আনবে এবং সম্প্রসারণবাদ ও ইহুদিবাদি প্রকল্পগুলো শক্তিশালী করতে ইসরায়েলকে সুবর্ণ সুযোগ এনে দেবে।

ইসমাইল হানিয়া ও মাহমুদ আব্বাস (ডানে)

রাজনৈতিক সম্পর্কে ছেদ পড়ার সাত বছর পর তুরস্ক এবং মিসর সম্প্রতি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য দিয়েছে, যেখানে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার আভাস মিলেছে।

গতমাসে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু ঘোষণা করেন, কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আঙ্কারা এবং কায়রোর মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ শুরু হয়েছে।

আনাদুলুকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ফিলিস্তিনি নির্বাচন নিয়ে নিয়েও কথা বলেন হানিয়া। তিনি জানান, মে মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে হামাস জয়লাভ করলেও ‘জাতীয় ঐকমত্যের সরকার’ গঠনে তার দল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, ইহুদিদের দখলদারিত্ব মোকাবিলায় এ পদক্ষেপ খুবই জরুরি।