বিধ্বস্ত চেলসি: ডর্টমুন্ডের হার

গেল জানুয়ারিতে প্রধান কোচ ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডকে সরিয়ে দিয়েছেন চেলসির রাশান ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচ। নতুন কোচ টমাস টুখেল আসতেই বদলে যায় পশ্চিম লন্ডনের ক্লাবটির পারফরম্যান্স। জার্মান কোচের অধীনে অজেয় হয়ে উঠেছিল ব্লুজরা। অবশেষে ভুলে যাওয়া হারের স্বাদ পেল তারা।

ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে বিধ্বস্ত হয়ে দর্পচূর্ণ হলো চেলসির। তাও আবার বড় কোনো দলের বিরুদ্ধে নয়। অবনমন অঞ্চলে ধুঁকতে থাকা দলের কাছে। লন্ডনে এসে চেলসিকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিল ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিয়ন। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টুখেলের অধীনে ১৪তম ম্যাচে এটাই প্রথম হার চেলসির।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা নয় ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হারল ব্লুজরা। অথচ এমন ম্যাচে শুরুতে কিন্তু এগিয়ে ছিল চেলসিই। ২৭ মিনিটে স্বাগতিকদের উচ্ছ্বাসে ভাসান ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ। এই গোলের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে দুই মিনিটের মধ্যে। লাল কার্ড (দ্বিতীয় হলুদ কার্ড) দেখে মাঠ ছাড়েন থিয়াগো সিলভা।

ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গেল ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের লাল কার্ড। দশ জনের চেলসির ওপর সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওয়েস্টব্রম। জোড়া গোল করলেন কস্টা পেরেরা ও কালাম রবিনসন। অতিথিদের অন্য গোলটা করেছেন ডায়াগনে। ৭১ মিনিটে চেলসির দ্বিতীয় গোলটি করেছেন মাউন্ট।

দীর্ঘ দশ বছর পর ঘরের মাঠে পাঁচ গোল হজম করল চেলসি। সবশেষ ২০১০ সালে লন্ডন ডার্বিতে আর্সেনালের কাছে ৫-৩ গোলে হেরেছিল ব্লুজরা। শনিবারের ম্যাচ শেষে কোচ টুখেল বললেন, ‘পাঁচ গোল হজমের কোনো দরকার ছিল না।’ এই হারের পর ৩০ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের চারে থাকল চেলসি। সমান ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ১৯ নম্বরে ওয়েস্টব্রম।

রাতটা ভালো কাটেনি টুখেলের সাবেক ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডেরও। ঘরের মাঠে হেরেছে তারাও। জার্মান বুন্দেসলিগায় সিগনাল ইদুনা পার্কে ইন্ট্রাক্ট ফ্র্যাঙ্কফুর্টের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে ডর্টমুন্ড। এই হারের পর লিগ টেবিলে যথারীতি পাঁচে থাকল ডর্টমুন্ড। ২৭ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট তাদের। সমান ম্যাচে সাত পয়েন্ট বেশি নিয়ে চারে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট।