এবার রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত চুক্তির পথে ইরান

যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলায় বহুমুখী কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে ইরান। একদিকে, মার্কিন-বিরোধী বলয়ের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে মার্কিন প্রশাসনের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে দেশটি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

ইরানি সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিশনের চেয়ারম্যান মুজতবা জুন্নুরি বলেছেন, ইরান এবং রাশিয়া নিজেদের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদি কৌশলগত চুক্তির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হবে।

এদিকে, ইরানের পরমাণু সমঝোতায় আমেরিকার সম্ভাব্য ফিরে আসার বিষয়টি নিয়ে আগামী সপ্তাহে ভিয়েনায় যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হতে যাচ্ছে, তাতে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের জন্য ফ্রান্সের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ শনিবার রাতে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভস লা দ্রিয়াঁর সঙ্গে এক টেলি ফোনালাপের পর নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে এ তথ্য জানান।

জারিফ লিখেছেন, ‘আমি ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপের সময় আসন্ন ভিয়েনা বৈঠকে পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে গঠনমূলক ভূমিকা রাখার জন্য প্যারিসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।’

রাশিয়া ও ইরানের পতাকা

এদিকে, মুজতবা জুন্নুরি আইআরআইবি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কৌশলগত চুক্তিতে তেহরান এবং মস্কো- দুই পক্ষেরই ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। তিনি বলেন, গত বছর ইরানের স্পিকার বাকের কলিবফের মস্কো সফরের সময় তেহরানের পক্ষ থেকে এ চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হলে মস্কো তাকে সাদরে গ্রহণ করে। বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে ইরান এবং রাশিয়ার মধ্যে জোর শলাপরামর্শ চলছে বলে তিনি জানান।

জুন্নুরি বলেন, ইরান সরকার রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করলে তার প্রতি সংসদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হবে।

ইরানের ওপর থেকে মাকিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার প্রসঙ্গেও কথা বলেন ইরানি পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক কমিশনের চেয়ারম্যান মুজতবা জুন্নুরি। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ করে দেওয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক বৃহৎ শক্তিগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা শক্তিশালী করা। ইরান বর্তমানে সে লক্ষ্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে বলে জানান এ প্রভাবশালী এমপি।