ইমরান খানের ‘পলিসি চেঞ্জ’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার বিরোধীদের প্রতি নীতি বা অবস্থান পরিবর্তন করছেন বলে মনে করা হচ্ছে। নিজের মুখপাত্রদের নিয়ে বৈঠকে যে দিক-নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন, তা থেকে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

দেশটির গণমাধ্যম ডন খবর দিয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডেকে নিজের মুখপাত্রদের নিয়ে বৈঠক করেছেন ইমরান খান। সেখানে তিনি তাদের দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন যে, বিরোধী দল বা জোট বর্তমানে কোনো ফ্যাক্টর না। তাই অহেতুক মিডিয়া বা টকশোতে তাদের সমালোচনা করার দরকার নেই। বরং সরকারের অর্জনগুলো যেন জনগণের কাছে তুলে ধরা হয়।

খবরে বলা হয়েছে, বৈঠকে ইমরান খান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং বিচার বিভাগের সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ বিষয়ে বিরোধী দলগুলোকেও আলোচনার জন্য ডাকা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ ছাড়াও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ এবং খাইবার পাখতুনখওয়া অ্যাসেম্বলির স্পিকার মুশতাক ঘানির সঙ্গে বৈঠক করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ‘মাফিয়া’দের বিরুদ্ধে এবং পণ্যের ‘কৃত্রিম সংকট’ তৈরি করে দাম বাড়ানোর বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান ইমরান খান।

গত বছরের শেষ দিকে পাকিস্তানের বিরোধী জোটের বিশাল সমাবেশ সরকারে মধ্যে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল

এর পর পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর প্রধান চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবের সিধু ইমরানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এ সময় দেশটির বিমানবাহিনীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

ডন বলছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন এমন একজন মুখপাত্র তাদের বলেছেন, পাকিস্তানের বিরোধী জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) ভেঙে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বললেন, বিরোধীরা এখন সরকারের জন্য ‘ক্ষতিকর’ নয়। সুতরাং মিডিয়া, টিভি প্রগ্রাম অথবা পার্লামেন্টে এখন তাদের সঙ্গে অহেতুক বিতর্কে না জড়ানো উচিত। এর পরিবর্তে এখন সরকারের বিভিন্ন অর্জন মানুষের কাছে তুলে দরকার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম ইমরান খান ও তা ঘনিষ্ঠ মিত্ররা বিরোধীদের ব্যাপারে নীতি বা অবস্থান পরিবর্তন করছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এতদিন সরকার প্রধান ও তার মিত্ররা অভিযোগ করে আসছেন যে, বিরোধীরা জাতীয় সম্পদ লুট করেছেন এবং দেশকে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছেন।