‘অনিয়ম’ ঢাকার চেষ্টায় বাফুফে!

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আর্থিক খাতের গড়মিল নিয়ে প্রতি বছরই নানা কথা শোনা যায়। সাম্প্রতিক সময়ের খবর, অনিয়মের কারণে বাংলাদেশকে বার্ষিক অনুদান দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)। তবে বিষয়টি অস্বীকার করছেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন

ফিফা থেকে বার্ষিক অনুদান বন্ধের বিষয়টি অস্বীকার করলেও বাফুফের আর্থিক হিসাব নিয়ে যে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে সেটা পরিষ্কার করেছেন মুর্শেদী। এজন্য বাফুফের প্রধান হিসাব কর্মকর্তা আবু হোসেনকে দায়ী করছেন তিনি।

ফিফার সাথে সভা শেষে গতকাল মঙ্গলবার লিখিত বক্তব্যে মুর্শেদী বলেন, ‘আজকের (৬ এপ্রিল) সভায় বাফুফের ফাইন্যান্স সম্পর্কিত কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ফিফার পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো এবং বাফুফের পক্ষ থেকেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড প্রসিডিউর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সভায় বাফুফের ক্রয়-বিক্রয় নীতি ও অর্থ পরিশোধে লিখিত নীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যা ভবিষ্যতে ফিফার ফরোয়ার্ড প্রজেক্ট ফান্ড বাফুফের অনুকূলে ছাড়করণের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।’

মুর্শেদী বলছেন, ফিফা থেকে অন্যান্য সব বরাদ্দই পাচ্ছে বাফুফে, ‘দুই সপ্তাহ আগেও ফিফা থেকে একটা বরাদ্দ পেয়েছি আমরা। ৪ এপ্রিল এ সংক্রান্ত কাগজপত্রে আমি স্বাক্ষর করেছি। গত চার বছরে আমাদের আর্থিক কর্মকাণ্ড ৯১ ভাগ স্বচ্ছ। লিখিত বক্তব্যে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা শব্দগুলো শুধু ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।’

ফিফার কোভিড ফান্ডের অর্থ এখনও বুঝে পায়নি বাফুফে। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানালেন, এজন্য গতকালের সভায় ফিফাকে অনুরোধ করেছেন তারা, ‘আমরা নিয়মিতই ফিফা-এএফসি থেকে অনুদান পাচ্ছি। তবে ফিফার কোভিড ফান্ডটা এখনো পাইনি। এজন্য আজকের সভায় (গতকাল) ফিফাকে অনুরোধ করেছি আমরা।’