সর্বাত্মক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি রাশিয়ার!

সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া সেনা সমাবেশ বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জিলেন্সকি। এ বিষয়ে মস্কোর প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

কৃষ্ণ সাগরে রুশ যুদ্ধযান, ফাইল ছবি

এমন প্রেক্ষাপটে পূর্ব ইউক্রেনে সর্বাত্মক যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ার করলেন রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন। গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দপ্তরের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

ইউক্রেনের রুশপন্থী গেরিলাদের সহায়তার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধ শুরু হলে তাদের নিয়ন্ত্রিত দনবাস অঞ্চলে সামরিক শক্তি ব্যবহারে বাধা দেয়া হবে।

দুই দেশের সীমান্ত এলাকাকে বিপজ্জজনক বিস্ফোরণোন্মুখ মন্তব্য করে দিমিত্রি পেসকভ বলেন, পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেখানে সেনা পাঠাবে মস্কো।

দিমিত্রি পেসকভ, ফাইল ছবি

‘কন্টাক্ট লাইন’ চরম অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুদ্ধাবস্থা তৈরি হলে চুপচাপ বসে থাকবে না রাশিয়া। এই ধরনের শত্রুতা বিপুল মানুষের প্রাণহানি ঘটাবে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানায়, পূর্ব ইউক্রেন সীমান্তে ট্যাঙ্ক, রকেট আর্টিলারি ও স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে মস্কো। ওই এলাকায় বিশাল সামরিক ঘাঁটি রয়েছে দেশটির।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সাল থেকে মস্কো সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে বিরোধে লিপ্ত রয়েছে ইউক্রেন সরকার। সর্বশেষ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার অবনতি হওয়ায় মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনসহ পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দেশটির মন্ত্রীরা।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মানচিত্র

এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট জিলেন্সকি বলেন, রাশিয়ার ঐতিহ্যগত এক খেলার অংশ হলো সামরিক মহড়া এবং সীমান্তজুড়ে সম্ভাব্য হুমকি। এই হুমকির পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য রাশিয়াকে দোষারোপ করেন তিনি।

এদিকে, ইউক্রেনকে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের জন্য রাশিয়াকে হুঁশিয়ার করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, পূর্বাঞ্চলীয় ইউক্রেনে রাশিয়ার উস্কানিমূলক পদক্ষেপ সম্পর্কে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।