দাঙ্গাবাজ মোদিকে এত সম্মানের কী, বললেন মমতা

বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে প্রচারে পশ্চিমবঙ্গ চষে বেড়াচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জনমত জরিপগুলোতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে থাকলেও কথার লড়াইয়ে এগিয়ে আছে বিজেপি। মারামারি-অস্ত্রবাজির সঙ্গে সমানতালে চলছে কথার তীব্র লড়াইও। বক্তব্যে মমতাকে আক্রমণ করার জন্য মোদি কিছুক্ষণ পরপর ‘দিদি, ও-দিদি’ সম্বোধন করছেন। খবরে বলা হয়েছে, একদিনে মোদি ১২৬ বার ‘দিদি, ও-দিদি’ বলেছেন। ‘দিদি’ শব্দের এ রকম ব্যাঙ্গাত্মক ব্যবহার নিয়ে প্রতিবাদও উঠেছে। নারীদের উত্যক্ত করার সময় রাজ্যে এখন ‘দিদি’ শব্দটি ব্যাপকহারে ব্যবহৃত হচ্ছে। ‘দিদি’ বলে ব্যঙ্গ করা নিয়ে মামলাও হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, ফাইল ছবি

‘দিদি, ও-দিদি’র পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সোমবার আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি মোদিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বললেন, ‘হাজারটা মিটিং করলেও বাংলাকে পাবেন না।’

এদিন রাজ্যে একাধিক নির্বাচনি জনসভা করছেন মোদি এবং মমতা। স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়েছে। দমদমের সভা থেকে এক্ষেত্রেও কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, মোদির সভার কারণেই সময়ের আগে সভায় পৌঁছতে হয়েছে তাকে। নাহলে অনুমতি দেওয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল কমিশন। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘দাঙ্গা করে তো ক্ষমতায় এসেছে। কেন এত সুবিধা পাবেন তিনি?’ এরপরই ‘দিদি, ও-দিদি’ সম্বোধন নিয়ে মোদিকে কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘উনি তো মহিলাদের সম্মান করতে জানেন না, জানবেনই বা কী করে! যে নিজের স্ত্রীকে সম্মান করে না, তার কাছে এটা আশা করা যায় না।’

নরেন্দ্র মোদি

এদিন পুলওয়ামা নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘পুলওয়ামায় যাদের মারার লক্ষ্য ছিল, তাদের না মেরে নিজেদের লোককে মারা হয়েছিল।’ শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতাদের একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন মমতা। রাহুল সিনহার ‘৮ জনকে মারা উচিত ছিল’ মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, এরা কোথা থেকে এসেছে! এরপরই মমতা এই বিজেপি নেতাদের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তিনি। কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের বিরোধিতা করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে এরইমধ্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। তার পরই বিতর্ক আরও উসকে দিয়েছে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর মন্তব্য। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন রাহুল সিনহা। হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী বলেছেন, ‘চার নয়, আটজনকে গুলি করে মারা উচিত ছিল।’