ইরানের তোপে এবার ইইউ

আট নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় চটেছে ইরান। তেহরান এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওপর পাল্টা নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে। সোমবার (১২ এপ্রিল) দেশটি বলেছে, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সব ধরনের মানবাধিক বিষয়ক আলোচনা বাতিল করতে যাচ্ছে। খবর রয়টার্স।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে ইইউর সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন। এক টুইটে তিনি বলেন, ‘ইরান সব ধরনের মানবাধিকার আলোচনা ও সহযোগিতা বাতিলের ঘোষণা দিচ্ছে, যেটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আহ্বান করা হয়েছিল। বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ, মাদক ও শরণার্থী বিষয়ের আলোচনা বাতিল করা হয়েছে।’

সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান হুসেইন সালামিসহ ৮ নাগরিকের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের নিষেধাজ্ঞা দেয়, যা সোমবার থেকে কার্যকর শুরু হয়।

২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। দুই সপ্তাহের এ বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয় দাবি করে এ ঘটনার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা দেয়। যদিও জাতিসংঘের দাবি, ওই সহিংসতায় অন্তত ৩০৪ জন নিহত হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা

ইরানের পরমাণু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেরা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। ঠিক এ সময়ে এমন নিয়েধাজ্ঞা এলো পরমাণু চুক্তির অন্যতম অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে। ২০১৫ সালের ওই চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বেরিয়ে যায়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কঠোর নিন্দা জানিয়ে ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘ইউরোপীয় জোটের পক্ষ থেকে নেওয়া এ পদক্ষেপের কোনো যৌক্তিকতা নেই। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অমানবিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে ইরানি জনগণের অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন নিষেধাজ্ঞা তাদের জন্য লজ্জা, যারা মানবাধিকার রক্ষার দাবি করে থাকেন’