দুঃসময়ে ‘বড় স্বস্তি’ পেল পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ঋণের জালে জর্জরিত পাকিস্তানের অর্থনীতি করোনাকালে অন্যান্য দেশের মতো বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। এমন সময় মেয়াদ শেষে ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ এখনই ফেরত চাইছে না সংযুক্ত আরব আমিরাত। এটিকে ইসলামাবাদের ঋণের ক্ষেত্রে ‘বড় স্বস্তি’ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।

ইমরান খান -ফাইল ছবি

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, ২০১৮ সালের আগস্টে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসে ইমরান খানের সরকার। এরপর আর্থিক সঙ্কট সমাধানে আমিরাতের কাছ থেকে ২০০ কোটি ডলার ঋণ নেওয়া হয়।

চলতি বছরের গত মার্চে এই ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আমিরাতের অর্থ ফেরত চাওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পাকিস্তান। কেননা, সম্প্রতি সৌদি আরবের ঋণের ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটলে চীনের কাছ থেকে নিয়ে তা শোধ করতে হয়েছে ইমরান খানের সরকারকে।

বিষয়টি সামনে রেখে কয়েকদিন আগে আমিরাত সফরে যান পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

গাড়িতে শাহ মাহমুদ কোরেশি ও শেখ আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান

দুই দেশের শীর্ষ দুই কূটনীতিকের বৈঠক শেষে গতকাল মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) একটি বিবৃতি দেয় আমিরাত সরকার। তাতে বলা হয়, ২০০ কোটি ডলারের ‘আবু ধাবি ফান্ড’র ঋণ চলমান থাকবে।

ইসলামাবাদের গণমাধ্যমগুলো বলছে, পাকিস্তানের সকল ক্ষেত্রে সব ধরনের সমর্থন দেয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন আমিরাতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এটিকে উভয় দেশের মধ্যকার সাম্প্রতিক বিরোধ মিটিয়ে উষ্ণ সম্পর্কের আভাস হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এ ঘটনায় দেশটির ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারে ‘বড় স্বস্তি’ এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ ছাড়া সৌদি আরবের সঙ্গেও দেশটির বিরোধ মিটতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।