সহযোগিতার আহ্বান হাটহাজারী মাদরাসা কর্তৃপক্ষের

প্রতিবছরের মতো এবারো চলতি রমজান মাসে সহযোগিতা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আবেদন জানিয়েছে দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। মাদরাসার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে আজ বুধবার এ আহ্বান জানানো হয়।

সহযোগিতার আহ্বান হাটহাজারী মাদরাসা কর্তৃপক্ষের

লাইভে মাদরাসার শিক্ষক ড. নুরুল আফছার আজহারী হাটহাজারী মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের প্রধান আল্লামা মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামীর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

এ সময় তিনি বলেন, আল্লাহর রহমত ও দয়া এবং সর্বসাধারণের আর্থিক অনুদান ও সাহায্য-সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করেই বিগত ১২০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই মাদরাসা ইসলামের নিরলস খেদমত করে আসছে।

লিখিত বক্তব্যে ড. নুরুল আফছার আজহারী বলেন, করোনা মহামারির কারণে গত বছরও কওমি মাদরাসাগুলো রমজানের যাকাত, ফিতরা, সাধারণ দান ও কোরবানির চামড়া বিক্রির অর্থ সংগ্রহে বড় ধরনের সংকটে পড়েছে, সেটা আপনারা জানেন। এ বছরও কঠোর লকডাউনের কারণে যান চলাচল ব্যাপকভাবে সীমিত করা হয়েছে। এ কারণে গণমানুষের কাছে গিয়ে যাকাত, ফিতরা ও অন্যান্য দানের অর্থ সংগ্রহে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছেন মাদরাসার উস্তাদ ও প্রতিনিধিগণ।

হাটহাজারী মাদরাসা

আল্লাহ না করুন, গোরাবা ফান্ডের অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে এবারের রমজানেও যদি প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়, তাহলে প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম এবং হাজার হাজার গরিব ও এতিম শিক্ষার্থীর খাবার সংস্থান সংকটের মুখে পড়তে পারে, বলেন তিনি।

ফেসবুক লাইভে লিখিত বক্তব্যে হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষক আরো বলেন, লকডাউনের কারণে সরাসরি যাওয়ার সুযোগ পাবেন না মাদরাসার প্রতিনিধিরা। তাই গত বছরের ন্যায় এবারো রমজানে আপনাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানের বিশাল ব্যয় নির্বাহে সহযোগিতার অংশ হিসেবে নিজের সদাকা, ফিতরা ও দানের অর্থ দিতে পারেন। মাদরাসার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অথবা বিকাশ নম্বরে ব্যক্তিগত বা সম্মিলিতভাবে অর্থ জমা দিতে পারেন।

জামেয়ার এই সংকটে আপনারা পাশে থাকবেন এবং একই সঙ্গে স্থানীয় অন্যান্য কওমি মাদরাসার প্রতিও খেয়াল করবেন বলে আমরা আশাবাদী।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর এবং হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, পরিচালনা পরিষদ সদস্য আল্লামা ইয়াহিয়া, সিনিয়র শিক্ষক মুফতি জসিম উদ্দিন, সরকারি শিক্ষা পরিচালক মাওলানা শোয়েব প্রমুখ।