গুরুর চেয়ে শিষ্যরা বড়

বয়স বেশি হয়নি। মাত্র ২৯। এই বয়সটাতেই পরিণত হয়ে ওঠেন একজন ফুটবলার। একবার ভাবুন, এই বয়সের একজন মানুষ বিখ্যাত কোনো ক্লাবের ডাগ আউটে দাঁড়িয়েছেন! অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। কিন্তু এটাই এখন বাস্তবতা। ত্রিশের গণ্ডি ছোঁয়ার আগেই টটেনহাম হটস্পারের কোচ হয়ে গেলেন রায়ান ম্যাসন। তাতেই হলো নতুন ইতিহাস।

রায়ান ম্যাসন

তিন দিন আগে ঘটা করেই প্রধান কোচ হোসে মরিনহোকে ছাঁটাই করেছে টটেনহাম হটস্পার। তার শূন্যস্থান পূরণ করতে ফুটবল উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ম্যাসনকে নিয়ে এসেছেন ক্লাবকর্তারা। নতুন প্রধান কোচ আসার আগ পর্যন্ত তিনিই এখন স্পার্সদের ভারপ্রাপ্ত কোচ। বুধবার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কোচ হিসেবে অভিষেকও হয়ে গেল তার।

জয় দিয়ে ম্যাসনকে বরণ করে নিয়েছেন বেল-হিয়ুং-মিনরা। সাউদ্যাম্পটনের বিপক্ষে পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ পারফরম্যান্সে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তারা। কিন্তু দলের জয় নয়, পাদপ্রদীপে থাকলেন ম্যাসন। এদিন টটেনহামের ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে গড়লেন রেকর্ড। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে তিনিই এখন সর্বকনিষ্ঠ কোচ।

আরো বিস্ময়কর হচ্ছে, ম্যাচে টটেনহাম দলে থাকা পাঁচজন খেলোয়াড় কোচের চেয়ে বয়সে বড় ছিলেন! কাল রাতে ম্যাসনের বয়স ছিল ২৯ বছর ৩১২ দিন। টটেনহাম কোচ যার রেকর্ড ভেঙেছেন সেই অ্যাট্টিলিও লম্বার্ডো লিগ অভিষেকের বয়সে তার চেয়ে তিন বছরের বড় ছিলেন। ১৯৯৮ সালে ক্রিস্টাল প্যালেসের কোচ হয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন ৩২ বছর ৬৭ দিনের লম্বার্ডো।

কেমন লাগছে প্রিমিয়ার লিগের সর্বকনিষ্ঠ কোচ হিসেবে? টটেনহামের ডাগ আউটে দাঁড়ানোর অনুভূতিটাই বা কেমন? উত্তরে স্কাই স্পোর্টসকে ম্যাসন বলেছেন, ‘চমৎকার লাগছিল। ছেলেদের নিয়ে গর্ব হচ্ছিল। প্রথম ২০ মিনিট অনেক সাহসী এবং শক্তি সঞ্চার হয়েছিল। ওরা প্রথমার্ধে ‍খুব ভালো খেলেছিল। আমাদের জন্য সময়টা কঠিন ছিল। পরে ছেলেরা ওদের বিশ্বাসের প্রমাণ দিয়েছে।’

অবশ্য প্রিমিয়ার লিগের সর্বকনিষ্ঠ কোচ হলেও ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় লিগ হিসেব করলে ম্যাসন দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ কোচ। সর্বকনিষ্ঠ যিনি, তিনি ম্যাসনের চেয়ে চার দিন ছোট ছিলেন! ১৯৭৭ সালে কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের (কিউপিআর) ডাগ আউটে এভারটনের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল ফ্র্যাঙ্ক সিবলির (২৯ বছর ৩০৮ দিন)।