মানববিহীন যুদ্ধবিমানের প্রোটোটাইপ ওড়াতে যাচ্ছে তুরস্ক

২০২৩ সালের মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি মানববিহীন যুদ্ধবিমানের প্রোটোটাইপের প্রথম উড়ান পরিচালনা করবে তুরস্ক। এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির শীর্ষ ড্রোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ‘বেইকার’-এর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) সেকলুক বেইরাকতার।

২০২৩ সালের মধ্যে মানববিহীন যুদ্ধবিমানের প্রোটোটাইপ ওড়াতে যাচ্ছে তুরস্ক

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান প্রোগ্রাম থেকে তুরস্ককে আনুষ্ঠানিকভাবে বাদ দেওয়ার পরই সেকলুকের এ ঘোষণা এলো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত এক ভিডিওতে তিনি বলেন, বেইকার চার থেকে পাঁচ বছর ধরে আধুনিক মানববিহীন সমর আকাশযান (ইউসিএভি) ‘আকিঞ্চি’র জন্য কাজ করছে। এ প্রকল্পই প্রতিষ্ঠানটিকে মানববিহীন যুদ্ধবিমান তৈরির পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে ধাবিত করেছে।

বেইকার সিটিও বলেন, স্টেলথ যুদ্ধবিমান কর্মসূচি থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়ার পর মনে হতে পারে, এতে অসুবিধায় পড়বে দেশটি। কিন্তু, দীর্ঘমেয়াদে এটি দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।

অবরোধ এবং নিষেধাজ্ঞার ফলে তুরস্ক অতীতে অভ্যন্তরীণভাবে মানববিহীন আকাশযান (ইউএভি) এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের দিকে ধাবিত হয় এবং সাফল্য পায়।

দেশটি এখন কেবল যুদ্ধক্ষেত্রেই ড্রোন ব্যবহার করছে না, বরং বিশে^ ড্রোনব্যবস্থার বড় রফতানিকারকদের তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করছে। বেইকার-এর বেইরাকতার টিবি-২ ইউসিএভি এ ক্ষেত্রে গৌরবের সঙ্গে এগিয়ে রয়েছে।

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান : ফাইল ছবি

এফ-৩৫ প্রোগ্রাম তথা বিদেশ থেকে পাওয়া ব্যবস্থার অসুবিধাগুলো তুলে ধরে সেকলুক বলেন, ‘এমন একটি ব্যবস্থা, যা ডিজিটাল কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যার সফটওয়্যার আমরা বিদেশ থেকে কিনব, যার ব্যাপারে আমাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই, এ ধরনের সিস্টেমের স্বাধীন ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের মারাত্মক সমস্যার মুখোমুখি হতে হতো।’

এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে আনাদুলু এজেন্সি বুধবার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য আটটি দেশ এফ-৩৫ প্রোগ্রাম সংক্রান্ত ২০০৬ সালের চুক্তি বাতিল করে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যেখানে তুরস্ককে বাদ রাখা হয়েছে।

রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নেওয়ার অজুহাতে ২০১৯ সালে ওয়াশিংটন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কর্মসূচি থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়ার ঘোষণা দেয়।