এবার প্রকাশ্য মহড়ায় ইসরায়েল-আমিরাত

ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রতিবেশী দেশ গ্রিসের। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বড় ধরনের এক যৌথ সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে গ্রিস।

ইসরায়েল-আমিরাত মহড়া

এ মহড়ায় প্রথমবারের মতো একসঙ্গে অংশ নিয়েছে ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত বছরের আগস্টে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা দেশ দুটি এর আগেও একাধিক গোপন মহড়ায় অংশ নিয়েছে বলে জানা যায়।

গত রোববার শুরু হওয়া মহড়াটি আগামী শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এতে ইসরায়েলের অংশ নেয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।

গত মঙ্গলবার দেশটি জানায়, মহড়ায় যুদ্ধবিমানের ডগফাইট, ব্যাপক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে রক্ষার কৌশল অনুশীলন করা হয়েছে। উভয় দেশের সেনারা এতে অংশ নিয়েছে।

ইসরায়েল-আমিরাত সম্পর্ক

এ ব্যাপারে আমিরাতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও খবরটি নাকচ করা হয়নি। দেশটির সংবাদ মাধ্যমেও এ সংক্রান্ত কোনো খবর চোখে পড়েনি।

মহড়াটিতে ইসরায়েল ও আমিরাত ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, স্পেন ও গ্রিক সাইপ্রাসের যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে।

পার্সটুডে জানায়, এর আগে ২০১৬ ও ২০১৭ সালের গোপন মহড়ায় অংশ নিয়েছে ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশ দুটি তখন বিমান মহড়া চালালেও তা স্বীকার করেনি।

প্রসঙ্গত, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গত বছরের আগস্টে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি করে আমিরাত। এরপর বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো একই পথে হাঁটে। এ ঘটনাকে আরবদের ‘পিঠে ছুরিকাঘাত’ আখ্যায়িত করে কড়া প্রতিবাদ জানায় ফিলিস্তিনসহ গোটা মুসলিম বিশ্ব।