মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম ‘নিরাপদে’ ডিএমপির ৬ পরামর্শ

মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম নিয়ে নানা অনিয়ম, জালিয়াতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এমনকি এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটরদের অনেকেই যথাযথভাবে পালন করেন না টাকা লেনদেনের নীতিমালা ও নির্দেশনা। আবার বিভিন্ন অপরাধী চক্র এই কার্যক্রমের অপব্যবহার করে দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ করছে। এমতাবস্থায় মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমকে নিরাপদভাবে পরিচালনার জন্য ৬টি পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।

মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম ‘নিরাপদে’ ডিএমপির ৬ পরামর্শ, ফাইল ছবি

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দেওয়া পরামর্শগুলো হলো-

# বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে এজেন্টদের নাম ও ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য তথ্য সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করার কথা বলেছে ডিএমপি।

# বিকাশ, ইউ ক্যাশ, মোবি ক্যাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যেসব এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় আছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা- রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন- স্থাপন করা যেতে পারে।

# স্থায়ী দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া এজেন্ট নিয়োগ না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে পরামর্শে। একই সঙ্গে রাস্তা-ঘাট, ফুটপাত কিংবা গাছের নিচে অস্থায়ীভাবে চেয়ার-টেবিল বসিয়ে যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম যাতে পরিচালনা না করা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।

ডিএমপির লোগো

# এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে আবেদনকারীদের নাম, ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তথ্যগুলো পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের মাধ্যমে ভেটিং করানো।

# গ্রাহকের হিসাব খোলার আবেদনের ক্ষেত্রে কেওয়াইসি (নো ইয়োর কাস্টমার) ফরম যথাযথভাবে পূরণ বাধ্যতামূলক করা। গ্রাহক যেসব তথ্য দেবেন সেগুলো সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের অনুমোদন দিতে পারে ব্যাংক।

# ডিএমপির পরামর্শে আরো বলা হয়, ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেন্টার থেকে যারা ক্যাশ আউট বা টাকা উঠাবেন তাদের ছবি, নাম-ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র, ফোন নম্বর গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় তথ্য রেজিস্টারে সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক। ব্যাংকের পক্ষ থেকে সব এজেন্টদেরকে এ ব্যাপারে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সচেতনতমূলক নির্দেশনা দেওয়া।

ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসীদের এখন সফট টার্গেটে পরিণত হয়েছেন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করা নগদ টাকা পরিবহনকারীরা। ফলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা পরিবহন করাটা ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।

এমন প্রেক্ষাপটে সকল কর্তৃপক্ষকে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার আর্মড ভেহিকেল এবং নিরাপত্তারক্ষীদের প্রহরায় টাকা পরিবহন তথা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা সম্পন্ন করার অনুরোধ করছে ডিএমপি, যাতে উল্লিখিত দুর্ঘটনা ও ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয়। প্রয়োজনে ডিএমপির ‘মানি এস্কর্ট’ সার্ভিসও নেওয়া যেতে পারে বলে জানানো হয়।