নানা নাটকীয়তার পর নন্দীগ্রামে জয়ী শুভেন্দু, মেনে নিলেন মমতা

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে নন্দীগ্রামে কে জিতলেন মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল নাকি কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী? বেশ খানিকটা সময় এই প্রশ্নের উত্তর ঝুলে ছিলো। ওই আসনের নির্বাচনী কর্মকর্তা আরিজ আফতাব জানিয়েছিলেন, আপাতত এই আসনের ফলাফল স্থগিত থাকছে। ভোট পুনরায় গণনা হতে পারে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত এসেছে, শুভেন্দুই জয়ী হয়েছেন নন্দীগ্রামে।

দিনভর কেন্দ্রটিতে চোখ ছিলো পুরো ভারতের। সেই সাথে বাংলাদেশের মানুষও নন্দীগ্রামের ফলের বিষয়ে আগ্রহ নিয়ে দিনভর অপেক্ষা করেছেন। ভোটগণনা শুরু হওয়ার পর থেকে কখনো শুভেন্দু এগিয়ে ছিলেন, তো কখনো তাকে ছাড়িয়ে গেছেন মমতা।

১৭ রাউন্ডের ভোট গণনা শেষে মমতাকে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করা হয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো মমতাকে জয়ী ঘোষণা করে সংবাদও প্রকাশ করে। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে শুভেন্দুকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। এ পর্যায়ে ভোট লুট হয়েছে অভিযোগ করে আদালতে যাওয়ার হুমকি দেন মমতা।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করেন নির্বাচনী কর্মকর্তা আরিজ আফতাব। এই আসনের ভোট গণনার এক পর্যায়ে সার্ভারে প্রকৌশলগত ত্রুটির কারণে কিছুক্ষণ ভোট গণনা বন্ধ ছিলো। সেই ত্রুটির কারণে চূড়ান্ত ফলাফলেও প্রভাব পড়ে থাকতে পারে। এ দিক বিবেচনা করে এই আসনের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছিলো।

১৭ রাউন্ডের ভোটগণনার পর মমতা জয়ী হয়েছে, এমন খবর প্রকাশের কিছুক্ষণ পর শুভেন্দু সংবাদ মাধ্যমকে ফোন করে জানান তিনি ১৬০০ এর বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন মিলিয়ে দারুণ বিভ্রান্তি ছড়ায়।

শেষ পর্যন্ত বিভ্রান্তি দূর করতে কমিশনই এগিয়ে আসে এবং তারা জানিয়ে দেয় যে শুভেন্দু ওই আসনে পেয়েছেন এক লাখ নয় হাজারের বেশি ভোট, অন্য দিকে মমতা পেয়েছেন এক লাখ সাত হাজারের সামান্য বেশি।

মমতা এরই মধ্যে ফলাফল মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নই, বাংলার জয় ভারতকে বাঁচাল।”

মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস অন্তত ২১০টি আসন পেতে যাচ্ছে। অন্য দিকে বিজেপির ভাগ্যে জুটছে ৮০-এরও কম আসন। সরকারি ফল ঘোষণা হলে তাদের আসন সংখ্যা সুনিশ্চিত করা জানা যাবে।