এবার ইসরায়েলি বিমানবন্দরের কাছে ভয়াবহ আগুন

ইসরায়েলের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়নের কাছে আজ রোববার ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই এলাকার বিশাল অংশে আগুনে ছড়িয়ে পড়ে এবং সবকিছু পুড়ে যায়।

দেশটির চ্যানেল-থার্টিন-এর বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানায়, আগুনে পোড়া এলাকাটির পাশেই ইহুদি উপ-শহর ‘জিতান’ অবস্থিত। আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি খবরে।

বিপুল সংখ্যক দমকল সদস্য আগুন নেভানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে আজ রাত পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ফলে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।

ইসরায়েলি দৈনিক ইয়াদুত আহারনোত জানিয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আগুন নেভানোর। কিন্তু এর ব্যাপকতা এতই বেশি যে, তা নিয়ন্ত্রণে আনতেই হিমশিম খাচ্ছে তারা।

দেশটির রাজধানী তেল আবিব থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর। সেদেশের সবচেয়ে বড় ও ব্যস্ততম বিমানবন্দর এটি।

ইসরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বেন গুরিয়নের নামে করা এই বিমানবন্দরে দেশটির বিমান বাহিনীর ২৭তম স্কোয়াড্রন রয়েছে। সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি বেসামরিক বিমান চলাচলেও এটি প্রথম সারির বিমানবন্দর।

সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের ঘটনা বেড়ে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের ছোট্ট দেশ ইসরায়েলে। এর আগে সর্বশেষ শুক্রবার দেশটির হাইফা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বাযান তেল শোধনাগারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

জেরুজালেম পোস্ট ও চ্যানেল-১২ জানায়, তেল শোধনাগারটির ক্ষতিগ্রস্ত একটি পাইপ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে শোধনাগারের গুরুত্বপূর্ণ একটি পাইপ ধ্বসে গেছে।

বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বেশ কিছু গণমাধ্যম বলছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সাইবার হামলার কারণে বাযান স্থাপনায় ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

এর কয়েকদিন আগে ইরানি একটি পরমাণু স্থাপনায় বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর পেছনে ইসরায়েলের সাইবার হামলাকে দায়ী করে প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দেন ইরানি কর্মকর্তারা।

তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফিরলে যুদ্ধ শুরু হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলি গোয়েন্দামন্ত্রী এলি কোহেন। এর জবাবেও ইরানের পক্ষ থেকে ওই হামলা হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।