‘গান পয়েন্টের’ বিষয় নিয়ে যা বললেন সেই অফিসার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে ভোট পুনর্গণনা ইস্যুতে এখনো টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত রোববার ফল ঘোষণার দিন থেকেই ত্রিমুখী বিতর্ক চলছে, যা এখনো থামেনি। বরং উল্টো নানা ডালপালা বিস্তার করছে বিতর্ক।

তৃণমূল কংগ্রেস শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে, ভোট গণনায় কারচুপি করে তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো হয়েছে। এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কোথাও কোনো অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করছে বিজেপি শিবির।

এমতাবস্থায় রোববার রাতেই আসনটির ফলাফল স্থগিত করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা আরিজ আফতাব। ‘আপাতত’ বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী জয়ী হলেও একের পর এক বিতর্ক আসায় নতুন করে ভোট গণনা হতে পারে বলে জানান তিনি।

আনসটিতে প্রার্থী হওয়া মমতা ভোট পুনর্গণার দাবি জানিয়ে সোমবার বলেন, ভোট পুনর্গণনার নির্দেশ দেয়া নিয়ে প্রাণনাশের হুমকিতে রয়েছে নন্দীগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ সময় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির সঙ্গে ওই রিটার্নিং কর্মকর্তার ক্ষুদেবার্তা (এসএমএস) চালাচালির প্রমাণও হাজির করেন তিনি।

বন্দুকের নলের মুখে রিটানিং কর্মকর্তাদের কাজ করতে বাধ্য করার অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, নন্দীগ্রামের ইভিএম পাল্টে দেয়া হয়েছে। আদালতে যাব, ফলাফলে কোনো বিকৃতি হয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হবে।

মমতার ভাষ্য অনুযায়ী, ইংরেজিতে ওই ক্ষুদে বার্তাটি পাঠিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসার কিশোর বিশ্বাস। হলদিয়ার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অ্যান্ড ডেপুটি কালেক্টর (ডিএমডিসি) পদে রয়েছেন তিনি।

কিশোরের সঙ্গে এতদিন যোগাযোগ করা না হলেও আজ বুধবার আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তিনি। এ সময় প্রশ্ন করা হয়, সত্যিই গান পয়েন্টে রেখে তাকে সিদ্ধান্ত দিতে বাধ্য করা হয়েছিল কিনা?

এর জবাবে ‘প্রাণনাশের হুমকি নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না’ উল্লেখ করে কিশোর বিশ্বাস বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে আমি কিছু বলব না। কিছু জানার থাকলে স্থানীয় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

মমতার দেখানো সেই ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়, প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে, খুন করা হতে পারে আমাকে। কিছু করার নেই, ক্ষমা করুন আমায়। আমার একটি ছোট মেয়ে রয়েছে। বার্তার অপরাংশে বলা হয়েছে, আমাকে বাঁচান, না হলে পরিবারটা ধ্বংস হয়ে যাবে। পরে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না আমার।