নেইমার নয়, এমবাপ্পের চুক্তি জরুরি ছিল!

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি পরবর্তী সেরা ফুটবলার হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছিল নেইমার জুনিয়রকে। অনেকেরই ধারণা ছিল এই যুগলের ফুটবল রাজ শেষ হবে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের সৌজন্যে। যদিও বাস্তবতা বড্ড কঠিন। ইউরোপিয়ান ফুটবলে কয়েক বছর কাটানোর পরও নেইমার এখনো বর্ষসেরা হতে পারেননি।

বার্সেলোনায় চার মৌসুম কাটানোর পর পিএসজিতে তৃতীয় মৌসুম শেষ করতে চলেছেন নেইমার। মূলত উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের জন্যই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের ওপর ভরসা রেখেছে পিএসজি। কিন্তু এবারো ব্যর্থ হয়েছেন নেইমার। ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হেরে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে তার দল পিএসজি।

পিএসজির বিশ্বাস নেইমার সেরা ফর্মে ফিরবে এবং ক্লাবকে রুপালি ট্রফি উপহার দেবেন। এই আস্থা থেকেই এক বছর বাকি থাকতেই তার সঙ্গে চার বছরের নতুন চুক্তি করেছে পিএসজি। কিন্তু এই চুক্তির কোনো সার্থকতা দেখেছেন না ডেভিড জিনোলা। নেইমারের চেয়ে এমবাপ্পের সঙ্গে নতুন চুক্তি করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করছেন জিনোলা।

সোমবার পিএসজির সাবেক প্লে মেকার বলেছেন, ‘ট্রফি জিততে হলে আপনাকে দল হিসেবে পারফর্ম করতে হবে। নেইমারকে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক আছে। কিন্তু এককভাবে সে কিছু করে ফেলবে এটার ভাবার কিছু নেই। (মিশেল) প্লাতিনি, (ডিয়েগো) ম্যারাডোনা  এমনটা করে এসেছেন। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই।’

জিনোলা যোগ করেন, ‘আমরা নেইমারের সঙ্গে আবার চুক্তি করতাম না, যতক্ষণ না পর্যন্ত কিলিয়ান এমবাপ্পের সই নিতে না পারছি। নেইমারের বয়স এখন ২৯ বছর। সে তার সেরা সময় পেরিয়ে এসেছেন। এমবাপ্পে আরো তরুণ। আমরা ওর সামর্থ্যের মাত্র ৬০ ভাগ দেখেছি। এমবাপ্পের সেরা সময় এখনো সামনে পড়ে আছে।’

এই মৌসুমে ইনজুরি আর নিষেধাজ্ঞার কারণে ভুগতে হয়েছে নেইমারকে। সবমিলিয়ে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে মৌসুম পার করছেন তিনি। চোটের কারণে এই মৌসুমে পিএসজির ১৯টি ম্যাচ খেলতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। ২৯ ম্যাচে ১৬টি গোল ও ১০টি অ্যাসিস্ট করেছেন বার্সেলোনার প্রাক্তন ফুটবলার।

পক্ষান্তরে, এই মৌসুমে এমবাপ্পে নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন। ইতোমধ্যে পিএসজির হয়ে ৪৩ ম্যাচে ৩৭ গোল করেছেন বিশ্বজয়ী ফরাসি সেনসেশন। এর মধ্যে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে ২৫টি গোল আছে তার। এমবাপ্পের সঙ্গে নতুন চুক্তিতে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পিএসজি। ক্লাবের সঙ্গে তার চুক্তি এক বছর বাকি আছে। ওদিকে এমবাপ্পেকে খুব করে চাইছে রিয়াল মাদ্রিদ। লিভারপুলও যোগাযোগ করছে তার সঙ্গে।