সবাই কেন আমাকেই ঠকায়!
- Details
- by জীবনশৈলী ডেস্ক
হার-জিত, লাভ-ক্ষতি নিয়েই জীবন। কিন্তু এমন মানুষও আছে যারা পদে পদে ঠকে। প্রতিবারই হারে। নিজেকে নিজে ধিক্কার দেয় আর বলে, কেন এমনটি করলাম। সামনে থেকে আর কররো না- এমন শপথ নেওয়ার পরও একই ভুল আবার হয়ে যায়। তখন শুধু একটি প্রশ্নই মনে জাগে- সবাই কেন আমাকেই ঠকায়!
মানুষের জীবনধারা এবং অভ্যাস পর্যালোচনা করে বিশ্লেষকরা কয়েকটি কারণ বলেছেন, যে কারণে মানুষ বারবার ঠকে। এ অভ্যাসগুলো শুধরে নিলে আশা করা যায়, আপনিও অযাচিত কষ্ট পাওয়া থেকে বেঁচে যাবেন।
১. বন্ধুর ব্যাপারে সাবধান হোন। শেখ সাদী বলেছেন- শত্রুকে যদি ভয় পাও একবার, বন্ধুকে ভয় পাও দশবার। আজ যে বন্ধু, কাল সে শত্রু হবে না সে নিশ্চয়তা কোথায়?
২. দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা যাদের আপন ভেবে স্বর্বস্ব বিলিয়ে দিই, বিপদের দিন তারাই আমাদের ছেড়ে যায়। ক্ষেত্রবিশেষে পরিবার, আত্বীয়-স্বজনরাই আমাদের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে পবিত্র কোরআন বড় চমৎকার সমাধান দিয়েছে। সূরা মুদ্দাসসিরে আল্লাহ বলেছেন, প্রতিদানের আশায় কারো উপকার করো না।
৩. কারো জন্য কিছু করলে সামর্থ্যের মধ্যে করুন। ইসলামের নবী বলেছেন, নিজেকে নিঃস্ব করে অন্যের উপকার করতে যেও না। বেশিরভাগ মানুষ ঠকে, কারণ তারা কার জন্য কতটুকু করা উচিত, সে বিচার না করেই পা বাড়ায়।
৪. বিশ্বাস করুন, তবে অন্ধের মতো নিজের বাবা-মাকেও বিশ্বাস করবেন না। রূঢ় হলেও এটাই চরম সত্য। জগতে যত মানুষ ঠকেছে, অন্ধের মত বিশ্বাসের কারণেই ঠকেছে।
৫. মনে রাখুন, সবারই একটা ভেতরের চেহারা আছে। আপনার সামনের নিপাট ভদ্র মানুষটিও কারো না কারো কাছে চরম জোচ্চর, ঠকবাজ। সুযোগ পেলে আপনাকে ছেড়ে দেবে কেনো?
ইসলাম ধর্মের নবী বলেছেন, মুসলমান দ্বিতীয়বার ঠকে না। কেউ যদি বারবার একইভাবে ঠকেন- সেটা হতে পারে কাউকে বিশ্বাস করে, টাকা ধার দিয়ে, সম্পর্ক গড়ে ইত্যাদি; তাহলে এ কথাটা অবাস্তব নয়, আপনার ঈমানের ঘাটতি আছে। নিজেকে প্রতারণা থেকে বাঁচিয়ে চলা শুধু বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের নয়, একজন খাঁটি মুমিনেরও বৈশিষ্ট।
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর