জাতিসংঘ: বাংলাদেশকে সহায়তা করা উচিত

রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি করা ভাসানচর প্রকল্পটি কক্সবাজারের চেয়ে ভালো বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। সংস্থাটি বলছে, সেখানে রোহিঙ্গাদের মর্যাদার সাথে বসবাস করা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহায়তা করা উচিত।

জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ কে আব্দুল মোমেন

আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির কার্যক্রম পরিচালনা সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজাও এ কথা বলেন। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।

ভাসানচরে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ করেছে উল্লেখ করে রাউফ মাজাও বলেন, সেখানে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা প্রকল্পটিতে আছেন আর যারা যাবে, তাদের মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করার বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন আমাদের। এ জন্য বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন দেয়া উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে।

ভাসানচরে রোহিঙ্গা আশ্রয়ন প্রকল্প

দ্বীপটিতে বসবাস করা মানুষের ভেতরে যাতে বিচ্ছিন্নতাবোধ কাজ না করে, সেজন্য আসা-যাওয়া এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ ব্যবস্থা সাময়িক আশা করা যায়, প্রত্যাশা থাকবে রোহিঙ্গারা দ্রুত ফিরে যাবে, বলেন তিনি।

এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জীবিকাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করার আহ্বান জানান রাউফ মাজাও। ভাসানচর প্রকল্পে জাতিসংঘের শিগগিরই যুক্ত হওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প

এদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন, তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তাদের সহায়তার জন্য কঠিন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। চার বছরেও রোহিঙ্গারা আদি নিবাসে ফিরে যেতে পারেনি, তাদের প্রত্যাবাসনই চূড়ান্ত সমাধান।

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সামরিক সরকার থাকায় একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘ অধিকতর চাপ দিলে তারা কথা শুনবে, রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরার একটা পথ হবে।

বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা যাত্রা

চার দিনের সফরে গত রোববার ঢাকায় আসেন ইউএনএইচসিআর-এর কার্যক্রম পরিচালনা সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজাও ও সুরক্ষা সহকারী হাইকমিশনার গিলিয়ান ট্রিগস। সফরের দ্বিতীয় দিনে গত সোমবার ভাসানচর প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন তারা।