বৈশ্বিক ব্র্যান্ডিংয়ে চুক্তি করলো বাংলাদেশ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ নিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার! এর অংশ হিসেবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ক্যাম্পেইন পরিচালনায় আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নিলো ঢাকা।

বাংলাদেশের পতাকা হাতে কিশোর -ফাইল ছবি

আজ বুধবার মার্কিন সিএনএন ইন্টারন্যাশনাল কমার্শিয়ালের (সিএনএনআইসি) সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই)। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বিএফটিআইর সঙ্গে চুক্তির আওতায় বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের রপ্তানি খাতগুলোর প্রচার করা হবে সিএনএন নেটওয়ার্কে। বিশ্ববাজারে রপ্তানি বাড়াতে এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে বেসরকারি খাতের অর্থায়নে।

সিএনএনের লোগো

ডিজিটাল এই ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবে বিএফটিআই, যা সরাসরি তত্ত্বাবধান করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত স্টিয়ারিং কমিটি। পুরো বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে সিএনএনের স্থানীয় প্রতিনিধি স্পেলবাউন্ড কমিউনিকেশনস লিমিটেড।

ক্যাম্পেইনে রয়েছে- টিভি বিজ্ঞাপন, বিস্পোক সম্পাদকীয়, প্রোমো অডিও ভিজ্যুয়াল, ভিগনেটস প্রচার। এ ছাড়া ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ থিম উইক তৈরি এবং সম্পাদনা করা হবে ডিজিটাল প্রচারে। এতে সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে দেশের ৫টি সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত। আরো স্থান পাবে নির্বাচিত শিল্পের অধীনে থাকা ১০টি শীর্ষ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং।

বিএফটিআইয়ের লোগো

এ বিষয়ে বিএফটিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী ওবায়দুল আজম বলেন, সিএনএনের মানসম্মত কনটেন্টের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রচার পাবে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং। এটি দেশের রপ্তানিমুখী বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে।

চলতি বছরের গত ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের সুপারিশ লাভ করে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের সিডিপির এ ঘোষণার চার দিন আগে ২২ ফেব্রুয়ারি সরকারকে একটি প্রস্তাব পাঠায় সিএনএনআইসি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ফাইল ছবি

তাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঢাকার সক্ষমতার চিত্র সারা বিশ্বে প্রচারে অংশীদার হতে নিজেদের আগ্রহের কথা জানায় মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। এর ৪ দিন পর চুক্তি সইয়ের অনুমোদনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে আবেদন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সিএনএনআইসি হচ্ছে- মার্কিন টিভি চ্যানেল সিএনএনের অ্যাডভার্টাজিং প্রতিষ্ঠান। এটি ব্র্যান্ড ও পাবলিশারদের ব্যবসা বাড়াতে বিশ্বব্যাপী প্রচারণা চালিয়ে থাকে। বিশেষ করে টেলিভিশন, ডিজিটাল ও সামাজিকমাধ্যমের সহায়তায় দর্শকদের কাছে পৌঁছানো চেষ্টা করা হয়।