সুপার লিগ: সতর্কবার্তার পরেও শক্ত অবস্থানে জুভেন্টাস

ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। তবে জল বেশিদূর গড়ায়নি। নতুন এই টুর্নামেন্ট ঘিরে সমালোচনাই বেশি হয়েছে। প্রবল প্রতিবাদ, নিন্দা, চাপ ও সতর্কবার্তার জের ধরে টুর্নামেন্ট আত্মপ্রকাশের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বড়সড় একটা ধাক্কা খায়। ১২ দলের মধ্যে নয় দল সুপার লিগ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়।

দলগুলোর মধ্যে আছে ছয়টি ইংলিশ ক্লাব। এ ছাড়া স্পেনের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এবং ইতালির এসি মিলান ও ইন্টার মিলান সুপার লিগ থেকে সরে দাঁড়ায়। তবে শেষ পর্যন্ত শক্ত অবস্থানেই থাকছে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস। এই তিনটি দলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কাজ শুরু করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা উয়েফা।

কিন্তু উয়েফার কঠোরতাকে ভয় পায় না জুভেন্টাস। শুক্রবার রাতে আরো একবার সুপার লিগ নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে তুরিনের বুড়িরা। ক্লাবের প্রধানকর্তা আন্দ্রে আগনেল্লি বলেছেন, ‘সুপার লিগ কোনো অভ্যুত্থান নয়। এটা প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা। জেনে বা না জেনে হোক, ক্ষতিগ্রস্তরা দেউলিয়া হতে চলেছে।’

আগনেল্লি

শুক্রবার জুভেন্টাস ক্রীড়া পরিচালক ফ্যাবিও প্যারাচিতির বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আগনেল্লি। সুপার লিগের স্বপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বর্তমান অবকাঠামোর প্রবল সমালোচনা করলেন জুভেন্টাস প্রেসিডেন্ট। বললেন সংকটের কথা, ‘বহু বছর ধরে আমি ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ভেতর থেকে পরিবর্তনের চেষ্টা করেছি। কারণ সংকটের উপসর্গগুলো মহামারির আগে থেকেই দেখা দিয়েছিল।’

সুপার লিগ আয়োজনের ঘোর বিরোধিতা করেছে উয়েফা। নতুন টুর্নামেন্টকে সমর্থন না দিয়ে বরং আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে তারা। উয়েফার এমন আচরণে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন আগনেল্লি, ‘সংকট মোকাবেলায় এ ধরনের আচরণ দিয়ে ফুটবল সংস্কার হয় না। আমি জানি উয়েফার সবার ভাবনা একরকম নয়। যাহোক, তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আমাদের আপত্তি নেই।’

আগনেল্লি আরো বলেছেন, ‘জুভেন্টাস, রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা বর্তমান টুর্নামেন্টগুলোর সংস্কারের পক্ষে। এটা ফুটবলের জন্য ভীষণ দরকার ছিল। পরিবর্তন সেসব ক্লাবের দরকার যারা এই পরিস্থিতির কথা আমাদের আগেই জানিয়ে রেখেছে।’ আগনেল্লি ফুটবল ক্লাবগুলোর আর্থিক ক্ষতির কথাই বলছে। যা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রায়সবাই।