টুইটার ব্যবহার করলেই ‘জেল-জরিমানা’!

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের ওপর চটেছে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া। দেশটিতে টুইটার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সরকারের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, বন্ধ থাকার পরও কেউ যদি অন্য কোনো পন্থায় এটি ব্যবহার করার চেষ্টা করে, তাহলে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

গতকাল শুক্রবার (৫ জুন) নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগে দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বুহারির একটি টুইট মুছে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরপরই টুইটারের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো। তবে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টুইটার নিষিদ্ধ করার পেছনে প্রেসিডেন্টের টুইট মুছে ফেলাই একমাত্র কারণ নয়।

টুইটার বন্ধ করার ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের টুইট মুছে ফেলার মধ্য দিয়ে মূলত নাইজেরিয়ার অস্তিত্বকে অবমূল্যায়ন করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। এটা ‘হতাশাজনক’। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি বন্ধ করার পেছনে আরও কারণ আছে।

টুইটারের মাধ্যমে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে ভুল ও মিথ্যা সংবাদ। এর মাধ্যমে সহিংসতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই আশঙ্কার জায়গা থেকেই টুইটার বন্ধ করা হয়। দেশটির বিচারমন্ত্রী আবুকবর মালামি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকারের এই নির্দেশনা না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্দেশনা লঙ্ঘন ঠেকাতে থাকবে একটি পর্যবেক্ষক দল।