চাপের মুখে পিছু হটল উয়েফা

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী টুর্নামেন্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ। ঝড় ওঠে ফুটবল বিশ্বে। ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় কুড়িটি দল নিয়ে টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর পরিকল্পনা ছিল আয়োজকদের। তন্মধ্যে ১২টি ক্লাবের নাম টুর্নামেন্ট আত্মপ্রকাশের প্রথমদিনেই প্রকাশ করা হয়।

তীব্র সমালোচনা, চাপ ও নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকির মুখে টুর্নামেন্ট আত্মপ্রকাশের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইউটার্ন নেয় ইংল্যান্ডের ছয় ক্লাব। পরে তাদের পদাঙ্ক অনুকরণ করে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও ইন্টার মিলান। এই আট দলের সঙ্গে যোগ দেয় এসি মিলান। উয়েফার দেওয়া অঙ্গীকারনামা ‘ক্লাব কমিটমেন্ট ডিক্লারেশন’ এ সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে তারা।

তবে সব ঝড়-ঝাপ্টার পরও সিদ্ধান্তে অটল থাকে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস। তাতে ক্ষুব্ধ হয় উয়েফা। তিনটি ক্লাবের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেয় তারা। ক্লাব তিনটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার প্রক্রিয়াও শুরু করে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা। অবশেষে তাদের শাস্তির ব্যাপারে পিছু হটল তারা।

গেল ১৮ এপ্রিল বহুল আলোচিত সুপার লিগ আত্মপ্রকাশ করে। এর দুদিন পর স্পেনের একটি বাণিজ্যিক আদালত রায় দেয় নতুন টুর্নামেন্টের পক্ষে। রায়ে বলা হয়, ফিফা ও উয়েফা সুপার লিগ গঠন ঠেকাতে পারে না। যদি সুপার লিগ তৈরিতে বাধা দেওয়া হয় তাহলে ইইউ কম্পিটিশন আইন ভঙ্গ করা হবে।

তাহলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসকে অনুরোধ করে মাদ্রিদের আদালত। সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে সুইস আদালতের নির্দেশে তিনটি ক্লাবের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম স্থগিত করতে বলা হয়। চাপের মুখে উয়েফার স্বাধীন আপিল বিভাগ তিনটি ক্লাবের শাস্তির কার্যক্রম স্থগিত করল।

বুধবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উয়েফা বলেছে, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উয়েফা আপিল বিভাগ এই কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ উয়েফার এই পিছু হটার মধ্য দিয়ে সুপার লিগ কিছুটা অগ্রসর হলো। স্পেনের প্রচারমাধ্যম মুন্ডো দিপোর্তিভো, মার্কা ও ইতালির গণমাধ্যম লা গাজেত্তার ধারণা আইনি শক্তি নিয়ে সুপার লিগ মাঠে গড়ানোর পরিকল্পনা করছেন আয়োজকরা।

ওদিকে সুপার লিগে চুক্তি করার শাস্তি হিসেবে ইংল্যান্ডের ছয়টি ক্লাবকে জরিমানা করেছে ফুটবল এসোসিয়েশন।