ইউরো ২০২০: আত্মঘাতী গোলের মেলা

জমে উঠেছে চলমান ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। বুধবার রাতে শেষ হয়েছে রোমাঞ্চকর গ্রুপপর্বের খেলা। যেখানে বেশ কয়েকটি ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে আত্মঘাতী গোলে। এ পর্যন্ত চলতি আসরে আত্মঘাতী গোল হয়েছে আটটি। তাতেই হলো এক আসরে সর্বোচ্চ আত্মঘাতী গোলের রেকর্ড। আগের সর্বোচ্চ রেকর্ডটা ছিল তিন গোলের।

গত আসরেই রেকর্ডটা গড়েছিল ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। যা ভেঙে গেছে এই আসরের রবিন লিগ রাউন্ডের মাঝামাঝিতেই। বিস্ময়কর হচ্ছে, আগের দশ আসর মিলে আত্মঘাতী গোল হয়েছিল নয়টি। সেখানে চলতি আসরেই ইতোমধ্যে আট গোল হয়ে গেছে! অথচ এবারের আসরের নক আউট পর্ব এখনো শুরুই হয়নি। আত্মঘাতী গোলের সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে ঠেকে সেটাই কার্যত দেখার।

১৯৭৬ সালে প্রথমবার ইউরো দেখেছে আত্মঘাতী গোলে। ওই আসরে একটিই আত্মঘাতী গোল হয়েছে। পরের চার আসরে কোনো ফুটবলার নিজেদের জালে বল জড়াননি। ১৯৯৬ ও ২০০০ আসরেও একটি করে আত্মঘাতী গোল দেখে টুর্নামেন্ট। পরের আসরে গোল হয় দুটি। ২০১২ সালে অবশ্য একটি আত্মঘাতী হয়েছে। গত আসরে হয় তিনটি। সেই রেকর্ড যে ভেঙে যাবে তা বোঝা গেছে গ্রুপের প্রথম রাউন্ড শেষেই।

চলমান ইউরো শুরুই হয় আত্মঘাতী গোলে। উদ্বোধনী ম্যাচে ইতালির বিপক্ষে আত্মঘাতী গোল করেন তুরস্কের ডিফেন্ডার ডেমিরাল। পরে স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের জালে বল পাঠান পোল্যান্ড গোলরক্ষক স্ট্যাসনি। আসরের প্রথম হাইভোল্টেজ ম্যাচটারও মীমাংসা হয়েছে আত্মঘাতী গোলে। ফ্রান্সের বিপক্ষে বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান জার্মানির ডিফেন্ডার ম্যাট হ্যামেসল।

আরেকটা বড় ম্যাচের ভাগ্যও নির্ধারণ হয়েছে আত্মঘাতী গোলে। জার্মানির বিপক্ষে চার মিনিটের ব্যবধানে দুটি আত্মঘাতী গোল করেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। স্পেনের বিপক্ষে একই অভিজ্ঞতা হয় স্লোভাকিয়ার। তারাও জোড়া আত্মঘাতী গোলের শিকার। ইউরোর ইতিহাসে এক ম্যাচে দুটি আত্মঘাতী গোল কখনোই হয়নি। সেখানে এই আসরেই দুইবার দেখাল এমন নজির।

পোল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে নক আউট পর্বের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল স্লোভাকিয়া। কিন্তু দুই আত্মঘাতী গোলেই কপাল পুড়েছে তাদের। ম্যাচটা স্পেনের কাছে ৫-০ ব্যবধানে হেরেছিল স্লোভাকিয়া। সেই ম্যাচে ১২ মিনিটে পেনাল্টি মিস করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আলভারো মোরাটা। পেনাল্টি শট ঠেকান স্লোভাকিয়া গোলরক্ষক মার্টিন ডুব্রাউকা। প্রতিযোগিতামূলক কোনো টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক ম্যাচে পেনাল্টি ঠেকানো ও আত্মঘাতী গোলরক্ষক আর নেই।