‘খালেদা জিয়া অপরাধ করেননি, ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কোনো অপরাধই করেননি। সুতরাং তার ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের চলতি দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সাম্প্রতিক ছবি

সম্প্রতি জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা। গতকাল বুধবার (৩০ জুন) সংসদ অধিবেশনে আলোচনায় অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির (বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়া) একমাত্র উপায় হলো দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতি অথবা সরকারের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্যে ফ্যাসিবাদী সরকারের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটেছে এবং এটি ভ্রষ্টাচার ছাড়া আর কিছুই নয় মন্তব্য করে প্রিন্স বলেন, গত ৩০ জুন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতীয় সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। তার বক্তব্যের মাধ্যমে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকারের ইচ্ছাকৃত প্রতিবন্ধকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকারের বৈশিষ্ট্যই হলো তারা যখন যেটা মনে করে সেটাই জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়। একই সঙ্গে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালায়। একই ঘটনা ঘটছে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও। আইনমন্ত্রী সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। সেইসঙ্গে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

এ সময় করোনা মোকাবেলায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের সমালোচনাও করেন সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়েছে। অথচ করোনা মোকাবেলায় এবং জনগণের জীবন রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতার কারণে জনজীবন আজ বিপন্ন হচ্ছে। টিকা কর্মসূচিসহ করোনা প্রতিরোধে সামগ্রিক ব্যর্থতা ঢাকতেই বার বার লকডাউন দিচ্ছে সরকার। আবার সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সেগুলোও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে।