ইউরো ২০২০: ইংল্যান্ডে যাচ্ছে একটা পুরস্কার

প্রান্ত সীমায় আসা এবারের ইউরোতে একমাত্র দল হিসেবে গোল হজম করেনি ইংল্যান্ড। কেন তাদের গায়ে ফেভারিটের তকমা মাখানো হয়েছে তা বোঝাতে এই তথ্যটাই যথেষ্ঠ। গোল হজম না করেই চলমান টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠেছে থ্রি লায়ানরা। প্রথমবারের মতো ইউরোর ফাইনালে উঠতে মাত্র একটা জয় দরকার তাদের।

গতকাল রাতে টাইব্রেকারে স্পেনকে ৪-২ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে স্বপ্নের ফাইনালের টিকিট কেটেছে ইতালি। দ্বিতীয় দল হিসেবে ইংল্যান্ড সেমিফাইনালে উঠবে এমনটাই আশা ফুটবল বিশ্লেষকদের। তবে ইংলিশরা ফাইনালে উঠুক কিংবা না উঠুক একটা বিষয় মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছে। আসরের সেরা গোলরক্ষক হচ্ছেন ইংল্যান্ডের জর্ডান পিকফোর্ড।

টুর্নামেন্টের পাঁচটি ম্যাচ খেলে একটিতেও গোল হজম করেননি এভারটনের শেষ প্রহরী। ২৭ বছর বয়সী পিকফোর্ডের ক্লিনশিট রয়েছে সবকটি ম্যাচেই। আজ ডেনমার্কের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের জাল অক্ষত রাখতে পারলেই তার গোল্ডেন গ্লাভস জেতা নিশ্চিত। তবে গোল খেলেও সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে সেটা হয়ে যেতে পারে যৌথ।

গোলরক্ষকদের সেরা হওয়ার দৌড়ে পিকফোর্ডের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ইতালির জিয়ানলুইজি ডোন্নারুম্মা। ইতালিয়ান গোলরক্ষক টানা তিন ম্যাচে গোল হজম করেছেন। কিন্তু গোল্ডেন গ্লাভসের লড়াইয়ে অতিরিক্ত সময়ের গোল হিসেবে করা হয় না। তাই ডোন্নারুম্মার ক্লিনশিট চার ম্যাচে ধরা হয়েছে। কাল স্পেনের বিপক্ষে গোল হজম করেই পিছিয়ে গেছেন তিনি।

তাতেই নিশ্চিত হয়েছে পিকফোর্ডের গোল্ডেন গ্লাভস জেতা। তবে এখনো সেখানে ভাগ বসানোর সুযোগ আছে ইতালিয়ান তারকার। যদিও সম্ভাবনা খুব কম। সেক্ষেত্রে রোববারের ফাইনালে কোনো গোল হজম করা চলবে না। আর অভিশাপ দিতে হবে পিকফোর্ডকে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে যেন ইংলিশ গোলরক্ষক কোনো ক্লিনশিট রাখতে না পারেন। ফাইনালে উঠলেও যেন পিকফোর্ড গোল হজম করেন।