ফাইনালে ইংল্যান্ড: বিশ্বজুড়ে পেনাল্টি বিতর্ক

ছোট্ট একটা ভুল এবং রেফারির একটা কঠিন সিদ্ধান্ত। নির্ধারণ করে দিল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ভাগ্য। বলা হচ্ছে ইংল্যান্ড-ডেনমার্ক ম্যাচের কথা। অতিরিক্ত সময়ে বিতর্কিত পেনাল্টি গোলের ওপর দাঁড়িয়ে প্রথমবারের মতো ইউরোর স্বপ্নের ফাইনালে উঠে গেল স্বাগতিক ইংল্যান্ড।

বুধবার লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ বাঁশির পরও ফল পাল্টায়নি। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। এই পর্বের প্রথমার্ধের শেষ দিকে ডেনমার্কের ডি-বক্সে পরে যান রহিম স্টার্লিং। ডেনিস অধিনায়ক ও ডিফেন্ডার জোয়াকিম কেজায়েরের আলতো ছোঁয়ায় সহজেই যেন পরে যান ইংলিশ ফরওয়ার্ড। স্টার্লিং মাটিতে না পরলেও সেখানে ইংল্যান্ডের গোলের সুযোগ ছিল সামান্যই।

অমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রেফারি পেনাল্টি না দিলেও পারতেন। স্বাগতিক হওয়ায় বাড়তি এই সুবিধাটা দেওয়া হয়েছে ইংলিশদের। এমনকি ভিএআরের সহায়তার পরও পেনাল্টি সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি। স্পট কিক থেকে হ্যারি কেনের নেওয়া শট আবার ঠেকিয়ে দেন ডেনমার্ক গোলরক্ষক স্মাইকেল। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের। শেষ রক্ষা হয়নি। ফিরতে শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন কেন।

এই একটা সিদ্ধান্তেই থেমে গেল ডেনমার্কের স্বপ্নযাত্রা। বিদায় নিল ডেনিসরা। একই সঙ্গে শুরু হলো পেনাল্টি বিতর্ক। বিশ্বজুড়ে স্যোশ্যাল মিডিয়ায় বয়ে যাচ্ছে বিতর্কের ঝড়। এমনকি ইংল্যান্ডের সমর্থকরাও রেফারির পেনাল্টির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। অনেকের মতে গোলটা না হলে ম্যাচটা যেতে পারতো টাইব্রেকারে।

তবে ইংল্যান্ড ফরওয়ার্ড স্টার্লিং দাবি করলেন পেনাল্টির সিদ্ধান্তটা তাদের জন্য ন্যায্যই ছিল। ম্যাচ শেষে আইটিভিকে তিনি বলেছেন, ‘এটা অবশ্যই পেনাল্টি ছিল। আমি ওদের ডি-বক্সে পরে গিয়েছি পেছন থেকে পায়ে আঘাত করায়। কাজেই এটা পরিষ্কার পেনাল্টি ছিল।’ স্টার্লিং দাবি করতেই পারেন। কিন্তু এই বিতর্কের ঝড় সহসা বোধহয় থামছে না।