তিন মিনিটেই সিদ্ধান্ত, ফ্রান্সেই দেশাম

খেলোয়াড়ি জীবনে নিজেকে অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন দিদিয়ের দেশাম। তার নেতৃত্বে ইউরো এবং বিশ্বকাপ দুটোই জিতেছে ফ্রান্স। কোচ হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। দেশামের কোচিংয়ে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ জেতে ফরাসিরা। বাকি ছিল ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। সেটা অবশ্য পাঁচ বছর আগে অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়ে গেছে।

২০১৬ ইউরোতে তীরে এসে তরি ডুবেছে ফ্রান্সের। ফাইনালে ঘরের মাঠে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ফরাসিরা। সেই দুঃখ ঘোচানোর সুযোগ অবশ্য এবার এসেছিল। কিন্তু সুইজারল্যান্ডের রূপকথার জয়ে বলি হয়েছে তাদের স্বপ্নটা। শেষ ষোলোতে দুই গোলে এগিয়ে থেকেও সুইসদের সঙ্গে ৩-৩ গোলের থ্রিলার ড্র করে তারা।

ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও তা মীমাংসা হয়নি। পরে টাইব্রেকারে বাজিমাত করেন শাকিরি-জাকারা। মহাঅঘটনের শিকার হয়ে ইউরো থেকে ছিটকে যায় ফ্রান্স। ফেভারিট ফরাসিদের এত দ্রুত বিদায়ে অনেকেই নিরাশ হয়েছেন। দলটির প্রধান কোচ দেশামের ভবিষ্যত নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছিল ফিসফাঁস। অনেকেই ভেবেছিলেন জিনেদিন জিদান আসছেন ফ্রান্সে।

অবশেষে সব জল্পনার অবসান হলো। দেশামকে রেখে দিয়েছে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএফ)। পুরনো কোচকে রেখে দেওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন এফএফএফ প্রেসিডেন্ট নোয়েল লা গ্রায়েট। তিনি দাবি করলেন, দেশামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে সময় লেগেছে মাত্র তিন মিনিট। তা কীভাবে এত দ্রুত এটা সম্ভব হলো?

উত্তরটা নোয়েল দিয়েছেন লা ফিগারোকে এক সাক্ষাৎকারে। ফ্রান্স ফুটবলের প্রধানকর্তা বলেছেন, ‘বুধবার গেগাঁয় আমি তার (দেশাম) সঙ্গে কথা বলেছি। তার উত্তর ছিল হ্যাঁ (আমি থাকব)। তিন মিনিটেই ব্যাপারটার সমাধান হয়ে গেছে। খুব দৃঢ়ভাবেই তিনি সামনে এগিয়ে যাওয়ার কথা বললেন। আমার কাছেও তাই মনে হয়েছে। আমরা কী করছি, কীভাবে করব- এসব নিয়ে কোনো বিতর্ক চাই না।’

২০১২ সালে ফ্রান্সের দায়িত্ব দেন দেশাম। জাতীয় দলে আসার আগে ক্লাব ফুটবলে এএস মোনাকো, জুভেন্টাস ও অলিম্পিক মার্শেইর মতো জায়ান্টদের দায়িত্ব পালন করেছেন ফরাসি কিংবদন্তি। দেশামের অধীনে এ পর্যন্ত ১১৭ ম্যাচের ৭৬টিতে জিতেছে ফ্রান্স। তার অধীনেই তিন বছর আগে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জেতে ফ্রান্স।