নড়বড়ে ব্রাজিলের বিশ্বরেকর্ড

রবার্তো মানচিনির অধীনে অবিশ্বাস্য হয়ে উঠেছে ইতালি। হারের স্বাদ ভুলেই গেছে আজ্জুরিরা। টানা ৩৪ ম্যাচ ধরে ছুটছে তাদের অজেয় যাত্রা। এই স্বপ্নযাত্রার পথেই ইতালি জিতে নিল দ্বিতীয় ইউরো ট্রফি। রোববার রাতে ওয়েম্বলির ফাইনালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে টাইব্রেকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ৫৩ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়েছে ইতালি।

অবিশ্বাস্য এই রথযাত্রায় দলটি ভেঙেছে নিজেদের ৮২ বছরের পুরনো ৩০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড। এরপর থেকে নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার অদম্য নেশায় মেতে উঠেছে ইতালি। আজ্জুরিদের ডাকছে এখন ব্রাজিলের বিশ্বরেকর্ড। দূরত্ব মাত্র এক ম্যাচের। আন্তর্জাতিক ফুটবলে টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড আছে সেলেকাওদের। তাদের রেকর্ড অল্পের জন্য ভাঙতে পারেনি স্পেন।

স্প্যানিয়ার্ডরা পারেনি, তুখোড় ফর্মে থাকা ইতালি পারবে তো? উত্তর মিলবে আগামী সেপ্টেম্বরে। যেখানে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বুলগেরিয়া ও সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে মানচিনির দল। ৩ সেপ্টেম্বর প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠেই ব্রাজিল ও স্পেনকে ছোঁয়ার সুযোগ তাদের। এর দুদিন পর সুইসদের মাঠে রেকর্ড ভাঙার চ্যালেঞ্জ তাদের।

সবশেষ ২০১৮ সালে উয়েফা নেশনস লিগের গ্রুপপর্বের ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল ইতালি। ওই হারটা তাতিয়ে দিয়েছে কিয়েলিনি-বনুচ্চিদের। অবিশ্বাস্য গতিতে ছুটে চলছে তারা। ইউরোতেও থাদের থামাতে পারল না কেউ। সদ্য সমাপ্ত টুর্নামেন্টে ইতালি করেছে ১৩ গোল। বিপরীতে হজম করেছে চারটি। কালকের ফাইনালেও আগে গোল হজম করেছিল তারাই।

তখন আশঙ্কা জেগেছিল। ইতালির অজেয় যাত্রা থেমে যাবে না তো? ইতালিকে থামাতে পারেনি ইংল্যান্ড। বরং তাদের হতাশায় ডুবিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরে আজ্জুরিরা। পরে অতিরিক্ত সময়েও ড্র থাকে ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ইতালি। তাদের মতো ব্রাজিলের রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন দেখছে আলজেরিয়াও। কার্যত টানা ২৭ ম্যাচ অজেয় আছে আফ্রিকান নেশনস কাপজয়ী দলটি।

একনজরে অজেয় যাত্রার রেকর্ড

ব্রাজিল: ৩৫ ম্যাচ (১৯৯৩-১৯৯৬)
স্পেন: ৩৫ ম্যাচ (২০০৭-২০০৯)
ইতালি: ৩৪ ম্যাচ (২০১৮*-বর্তমান)
আর্জেন্টিনা: ৩১ ম্যাচ: ১৯৯১-১৯৯৩)
ইতালি: ৩০ ম্যাচ (১৯৩৫-১৯৩৯)

ফ্রান্স: ৩০ ম্যাচ (১৯৯৪-১৯৯৬)
আলজেরিয়া: ২৭ ম্যাচ (২০১৮*-বর্তমান)
পশ্চিম জার্মানি: ২৩ ম্যাচ (১৯৭৮-১৯৮১)
ফ্রান্স: ২৩ ম্যাচ (২০১০-২০১২)