ন্যাটোর অভিযোগকে ‘পাত্তাই’ দিলো না ইরান

ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তেহরান-বিরোধী বক্তব্য দেন ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ। তার ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইরান। গতকাল সোমবার রাতে বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থানের কথা জানায় ব্রাসেলসে থাকা দেশটির ইউরোপীয় মিশন।

জেন্স স্টোলটেনবার্গ ও ইরানের পতাকা

পার্সটুডে জানায়, সোমবার ব্রাসেলসে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ায়ির ল্যাপিডের সাথে সাক্ষাৎ করেন স্টোলটেনবার্গ। পরে তিনি অভিযোগ করেন, পরমাণু অস্ত্র বিস্তাররোধ চুক্তি (এনপিটি) এবং পরমাণু সমঝোতা মানছে না ইরান।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো প্রধানের এমন বক্তব্যের পরপরই কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায় ইরানের ইউরোপীয় মিশন। বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, এনপিটিসহ পরমাণু সংক্রান্ত কোনো চুক্তিতেই সই করেনি ইসরায়েল। বরং পরমাণু শক্তিধর তেল আবিব বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আসছে বিশ্বকে। সেই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তেহরানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিন্দমাত্র গ্রহণযোগ্যতা নেই।

ইয়ায়ির ল্যাপিড ও জেন্স স্টোলটেনবার্গ, ফাইল ছবি

ন্যাটো মহাসচিবের বক্তব্যকে ‘বিভ্রান্তিকর’ ও ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়ে আরো বলা হয়েছে, শুরুতেই এনপিটি ও জীবাণু অস্ত্র নির্মূল কনভেশনে সই করেছে ইরান। সেই থেকেই এসব চুক্তি মেনে চলছে দেশটি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের শক্তিধর ছয় জাতি-গোষ্ঠীর পরমাণু সমঝোতা চুক্তি সই হয়। চুক্তিটি হয়েছিলো তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে। কিন্তু পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা মেনে নিতে পারেননি। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে তেহরানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই চুক্তিতে ওয়াশিংটনকে আবারো ফিরিয়ে আনবেন বলে নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। নির্বাচিত হওয়া পর এ নিয়ে শুরুতে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তার প্রশাসন। তবে সম্প্রতি ইরানি কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসেছেন মার্কিন কূটনীতিকরা।