অল্পতেই রেগে যান, নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন

রাগ আমাদের সকলের মধ্যেই বিদ্যমান একটি স্বাভাবিক আবেগ। কখনো কখনো রাগ আমাদের সঠিক কাজ করতে সাহায্য করে। কিন্তু যখন রাগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন তা আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণের কৌশল শেখা এবং রাগের কারণ বোঝা জরুরি।

রাগ নিয়ন্ত্রণে আনার কোনো বিকল্প নেই

কথায় কথায় রেগে যাওয়া, সবার সাথে রেগে যাওয়া, সব সময়েই রেগে থাকা - এগুলো মোটেই স্বাভাবিক কিছু নয়। রাগের কারণে অনেকেই বড় বড় বিপদের মধ্যে পড়ে যান। রাগের বশে অনেক সময় আমরা এমন কথা বলে ফেলি যা পরে অনুতাপ করতে হয়।

যেসব কারণে সাধারণত রাগ হয়

ভয়: যখন আমরা ভয় পাই, তখন আমাদের শরীর রক্ষাকারী হরমোন নিঃসরণ করে। এই হরমোন আমাদের রাগান্বিত করে তোলে।
লজ্জা: লজ্জিত হলেও আমরা রাগান্বিত হতে পারি। কারণ লজ্জা আমাদের আত্মসম্মানকে আঘাত করে।
মানসিক চাপ: দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ আমাদের রাগান্বিত করে তোলে।
বাইপোলার ডিজঅর্ডার: এই মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা মেজাজের দ্রুত পরিবর্তন অনুভব করেন। এর ফলে তারা অতিরিক্ত রাগান্বিত হতে পারে।
মাদকদ্রব্য: মাদকদ্রব্য আমাদের মস্তিষ্কের রসায়নে পরিবর্তন আনে। এর ফলে রাগের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।

রাগের কিছু লক্ষণ

• কথায় কথায় বিরক্তি
• নেতিবাচক চিন্তা
• চেঁচামেচি করা
• উচ্চ রক্তচাপ
• বুক ধড়ফড়

রাগ নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়

কথা বলার আগে ভেবে দেখা: রাগের বশে অনেক সময় আমরা এমন কথা বলে ফেলি যা পরে অনুতাপ করতে হয়। তাই কথা বলার আগে ভেবে দেখা উচিত।
সমাধান খোঁজা: কোনো সমস্যা দেখে বিরক্ত না হয়ে সমাধান খুঁজতে হবে।
অতিরিক্ত রাগ হলে শ্বাসের ব্যায়াম করা: অতিরিক্ত রাগ হলে শ্বাসের ব্যায়াম করলে রাগ নিয়ন্ত্রণে আসে।
মনোযোগ সরিয়ে নেওয়া: রাগ হলে মনোযোগ অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া।
রাগের কারণ বোঝা: রাগের কারণ বোঝা এবং সেগুলো এড়িয়ে চলা।
প্রয়োজনে সাহায্য নেওয়া: রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মনোবিদের সাহায্য নেওয়া।