দায়িত্ব নিয়েই যা বললেন ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট

ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা 'নিপীড়নমূলক' নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে চেষ্টা করা হবে। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে দেশটির সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনির আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের পর তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। প্রেস টিভি।

ইব্রাহিম রাইসি

১৮ জুন ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ভূমিধস বিজয় লাভ করেন। আগামী চার বছর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন রাইসি। সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি আট বছর ক্ষমতায় ছিলেন।

২০১৫ সালে ছয় দেশের সঙ্গে ইরানের করা পরমাণু চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অপর পাঁচটি দেশ হলো ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও রাশিয়া। এ দেশগুলো পি-ফাইভ প্লাস ওয়ান পরাশক্তি নামে পরিচিত।

ইরানের পরমাণু কেন্দ্র

ওই চুক্তির ফলে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ থেকে সরে আসে ইরান। চুক্তিতে বলা হয়, ইরানের কাছে যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ আছে তার ৯৮ শতাংশ কমিয়ে ৩০০ কেজিতে আনতে হবে।

চুক্তি অনুযায়ী ইরান সম্মত হয় যে, তারা অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম প্লুটোনিয়াম উৎপাদন বন্ধ রাখবে। এসব শর্ত মেনে নেওয়ার ফলে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত সব অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে সরে যাওয়ায় ফের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে ইরান।

টেলিভিশনে এক ভাষণে রাইসি বলেন, আমেরিকার দেওয়া নিপীড়নমূলক নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবে ইরান। নিষেধাজ্ঞার ফলে যেসব সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে সেবব সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবে তার সরকার।

ছয় দেশের সঙ্গে চুক্তিটি নবায়নের জন্য দুই পক্ষই চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইরানের কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই চুক্তিতে অনেক বিষয় গ্যাপ রয়েছে যা কাটিয়ে ওঠা এখনও সম্ভব হয়নি।

রাইসি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসবে নির্বাচিত হওয়ার দুদিন পর ২০ জুন তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ৬ষ্ঠ দফা আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়। আরেক দফা সংলাপ ভিয়েনায় অনু্ষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।