মন্দিরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশ ইমরানের

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পাঞ্জাবে জনতার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রদেশটির রহিম ইয়ারখান জেলার মন্দিরটি বিক্ষুব্ধ জনতা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে ভাংচুর করে। মন্দিরটির নাম ‘গনেশ’।

ইমরান খান হিন্দু মন্দির হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। পাঞ্জাব পুলিশের আইজিকে হামলায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি পুলিশের অবহেলা থাকলে তারও বিচার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। গালফ নিউজ।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ইমরান খানের বিশেষ সহকারী শাহবাজ জিল বলেছেন, পাকিস্তানের সংবিধানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা সুরক্ষিত। হিন্দুরা নির্ভয়ে পাকিস্তানে ধর্মকর্ম করতে পারবেন।

ইমরান খান

হামলার পর পাকিস্তানের হিন্দু কাউিন্সিলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সংসদ সদস্য ড. রমেশ কুমার ভাঙ্কবানির একটি অভিযোগ গ্রহণ করেছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ। তিনি মন্দিরে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

আজ শুক্রবার এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। শুনানিতে পাঞ্জাবের চিফ সেক্রেটারি ও পুলিশ প্রধানকে তদন্ত প্রতিবেদনসহ হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

পাঞ্জাবের রহিম ইয়ারখান জেলার ভং গ্রামে বুধবার ওই হামলার ঘটনা ঘটে। ক্ষুব্ধ জনতা ওই গ্রামের ‘গনেশ’ মন্দিরটির ওপর হামলা চালায় এবং শুকুর-মুলতান সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ বলছে, বিক্ষোভকারীরা আদালতের একটি রায়কে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ শুরু করে।

রায়টি ছিল ৮ বছর বয়সী একটি হিন্দু শিশুকে নিয়ে। শিশুটি একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রস্রাব করেছিল। আদালত রায়ে তাকে মুক্তি দেওয়ায় বিক্ষোভ শুরু হয়। একপর্যায়ে জনতা ওই মন্দিরে হামলা করে।