বিনা টিকেটে চিড়িয়াখানায় ঢুকলেই ২ মাসের জেল

টিকেট ছাড়া চিড়িয়াখানায় ঢুকলেই ২ মাসের জেল এবং ১ হাজার টাকা জরিমানা হবে। আজ সোমবার এমন বিধান রেখে বাংলাদেশ চিড়িয়াখানা আইন-২০২১ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২১ এর খসড়ায়ও এদিন নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিনা টিকেটে চিড়িয়াখানায় ঢুকলেই ২ মাসের জেল, ফাইল ছবি

ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে এ নিয়ে ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এর আগে সকালে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা যোগ দেন সচিবালয় থেকে।

সচিবালয়ে ওই ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, টিকেট ছাড়া যদি কেউ চিড়িয়াখানায় ঢুকে পড়ে, তাকে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে মন্ত্রিসভা সেটিকে পরিবর্তন করে ২ মাসের জেল এবং ১ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখেছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, চিড়িয়াখানায় ঢোকার টিকেটের মূল্যই তো অনেক কম। এ ছাড়া প্রস্তাবিত আইনে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধীরা যাতে বিশেষ সুবিধায় চিড়িয়াখানা দেখতে পারে সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সরকারের লোগো

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরো বলেন, আইনে চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, পশু-পাখির চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েও বলা আছে। দর্শনার্থীরা কীভাবে ঘুরবেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সুবিধাবঞ্চিত বা প্রতিবন্ধীদের চিড়িয়াখানা দেখার জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২১ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ সংক্রান্ত আগের অধ্যাদেশকে বদলে এখন আইন করা হচ্ছে।

জানা যায়, প্রাথমিকের শিক্ষকদের এককালীন চাঁদা দিয়ে এই ট্রাস্টের সদস্য হতে হয়। এর পর শিক্ষকদের পাশাপাশি তাদের পোষ্যরা এখান থেকে সুবিধা পাবেন। এর ভাইস চেয়ারম্যান হবেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক। ট্রাস্টি বোর্ডে ৮ জন ৩ বছরের জন্য দায়িত্বে থাকবেন। ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

কোনো শিক্ষক মারা গেলে তার নাবালক, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তানরা এই ট্রাস্ট থেকে সহায়তা পাবেন। সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কোনো ব্যক্তি অনুদান হিসেবে কিছু দিলে তা গ্রহণ করতে পারবে এই ট্রাস্ট। বিধি দিয়ে বিষয়গুলো নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।