আরো কমলো শনাক্ত ও মৃত্যু

দেশে মরণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গতকালের তুলনায় কিছুটা কম। আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৪ হাজার ৮৭৮। একই সময়ে দেশে আরো ৬ হাজার ৫৬৬ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যা গতকালের তুলনায় কিছুটা কম। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ৭ হাজার ২৪৮ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১০। 

বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি, ফাইল ছবি

আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ সক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। দেশে করোনা শনাক্তের পর থেকে প্রতিদিনই পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টার আপডেট জানিয়েছে আসছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৪২৯টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ হাজার ২২৬টি। এর মধ্যে আরো ৬ হাজার ৫৬৬ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যা গতকালের তুলনায় কিছুটা কম। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ৭ হাজার ২৪৮ জন। এর আগে গত ২৮ জুলাই ১৬ হাজার ২৩০ জন শনাক্ত হয়, যা এ যাবতকালের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১০ জন। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৫ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪টি।  

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে আরো ১৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গতকালের তুলনায় কিছুটা কম। আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছিল ১৭২ জনের। এর আগে গত ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মারা যায়, যা এ পর্যন্ত দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে দেশে মোট ২৪ হাজার ৮৭৮ জনের মৃত্যু হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৭৬ জন পুরুষ এবং ৮৩ জন নারী। এর মধ্যে ৪ জন বাসায় এবং বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ১৫৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৮১ জন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৫০ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৩৮, রাজশাহীতে ১৩, খুলনায় ১২, বরিশালে ১০, সিলেটে ২৩, রংপুরে ৮ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জন মারা গেছেন।

২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭২ শতাংশ।