আফগানে শিগগির ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার’

তালেবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানে শিগগির সরকার গঠন হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে। গতকাল রোববারও (২২ আগস্ট) নেতারা কাবুলে একটি বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। সেখানে সবপক্ষের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান শিগগির একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার পেতে যাচ্ছে।

তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, সরকার গঠনে আফগান রাজনীতিকদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলমান। নতুন সরকার খুব শিগগির ঘোষণা করা হবে। টলো নিউজ।

মুজাহিদ বলছেন, আমাদের রাজনৈতিক কর্মকর্তারা কাবুলে দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা উঠে এসেছে। শিগগির একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার ঘোষণা দেওয়া হবে, ইনশাআল্লাহ।

এর আগে গত শনিবার কাবুলে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন এক দল রাজনৈতিক নেতা। এর মধ্যে ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশনের প্রধান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ।

তারা একটি গ্রহণযোগ্য সরকার গঠন উপলক্ষে আলোচনায় বসার ওপর গুরুত্ব দেন। নেতাদের মধ্যে আরও ছিলেন সালাউদ্দিন দেলাওয়ার, আবদুল সালাম হানাফি, মোল্লা খায়রুল্লাহ খয়েরখা এবং আবদুল রহমান ফিদা।

পরে আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ একটি ফেসবুক পোস্টে জানান, তালেবান নেতারা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার চাচ্ছেন। এ উপলক্ষে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। যদিও কিছু আফগান নেতা সমালোচনাও করেছেন। তারা বলছেন, যে পন্থায় আলোচনা চলছে তাতে গ্রহণযোগ্য সরকার গঠন সম্ভব হবে না।

নাহজাত ই হামবাস্তাগি আফগানিস্তান পার্টির প্রধান সাইয়েদ ইসহাক গিলানি বলছেন, ‘সরকার গঠনের নামে যে খেলা চলছে তাতে ভালো কিছু আশা করা যাচ্ছে না। সবাই নিজের স্বার্থকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। এভাবে চললে আফগান জনগণের জন্য গ্রহণযোগ্য সরকার গঠন সম্ভব হবে না।’

বালখ প্রদেশের সাবেক গভর্নর আতা মোহাম্মদ নূরও সরকার গঠন প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন। নতুন সরকার গ্রহণযোগ্য হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। আমরা আবার ফিরব। আমরা তালেবানকে পরীক্ষা করছি। অন্তর্ভূক্তিমূলক সরকার না হলে আমরা আবার জেগে উঠব।

এর আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেলিফোনে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। তারাও আফগান জনগণের গ্রহণযোগ্য হবে এমন সরকার গঠনে গুরুত্ব দেন।