পাকিস্তান: আফগানিস্তানে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে কাজ চলছে

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা নিয়ে তারা কাজ করছেন। আঞ্চলিক কয়েকটি দেশে সফরের প্রাক্কালে ইসলামাবাদে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সম্প্রতি তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল নিয়ন্ত্রণে নেয়ার প্রেক্ষিতে দেশটিতে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা খুঁজে পেতে ইরান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তানসহ কয়েকটি দেশে সফর করবেন কুরেশি।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি

কাবুলে এখন যে পাঁচটি দেশ তাদের দূতাবাসের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, পাকিস্তান তাদের মধ্যে অন্যতম। আফগানিস্তান থেকে আসা লোকদের অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা দিতে ইসলামাবাদে একটি সেল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৬ আগস্টের পর থেকে কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে পাঁচটি ফ্লাইট চলাচল করছে। এর মাধ্যমে ২৮টি দেশের মানুষকে কাবুল থেকে সরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। আমরা বিশ্বব্যাংকের ২৯৩ জন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তিন হাজার ২৩৪ জন কর্মকর্তাকেও সরিয়ে এনেছি।

কুরেশি বলেন, পাকিস্তান আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা কামনা করে। এ চ্যালেঞ্জিং ইস্যুতে পাকিস্তান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ লক্ষ্যেই ইসলামাবাদ সেখানে একটি ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থা গঠনে কাজ করছে। তিনি বলেন, আমি অনেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এ ধারণাটি শেয়ার করেছি। তারা জবাবে জানিয়েছেন, এ পদক্ষেপে তারা আমাদের সাথে আছেন।

সরকার গঠন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে তালেবান নেতৃবৃন্দ

এক প্রশ্নের জবাবে কুরেশি বলেন, আফগানিস্তান এমন একটি দেশ যেখানে অনেকগুলো নৃগোষ্ঠী রয়েছে। এক্ষেত্রে যত বেশি হারে তাদেরকে সরকার ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে, এর গ্রহণযোগ্যতা তত বৃদ্ধি পাবে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আঞ্চলিক সফরে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তার আঞ্চলিক আসন্ন সফর সম্পর্কে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তান নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর মূল্যায়ন ও পরামর্শ সম্পর্কে জানার জন্যই মূলত এ সফর। এছাড়া অভিবাসীদের ধাক্কা, কোভিড-১৯সহ অন্যান্য ইস্যুও তার আলোচনার টেবিলে থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট তালেবান যোদ্ধারা রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করার মধ্য দিয়ে পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। ক্ষমতা হারানোর প্রায় ২০ বছর পর প্রায় বিনা রক্তপাতেই তারা কাবুলের দখল নেয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিসহ প্রশাসনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সরকার দ্রুত গুটিয়ে যায়।

সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন