কাবুল বিমানবন্দরে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা

কাবুল বিমানবন্দর ঘিরে ইসলামিক স্টেটের (আইএসআইএল) বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার হুমকির ব্যাপারে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগে থেকেই এই হুমকির কথা বলে আসছিলেন। কাবুল ছাড়ার শেষ মুহূর্তে তাদের কাছে এই হুমকি আরও জোরালো হয়েছে। আল জাজিরা।

কাবুল বিমানবন্দর

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ওই হামলার হুমকি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ আগস্টের মধ্যেই সকল নাগরিককে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোও একই হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, হুমকি বড় মাত্রার। যে গেট দিয়ে হোক দ্রুত নির্দিষ্ট তারিখের আগেই আফগান থেকে চলে আসতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র দপ্তরও কাবুল বিমানবন্দর ঘিরে ভয়াবহ হামলার হুমকি পেয়েছে।

কাবুল বিমানবন্দর

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র কার্যালয় একই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, কাবুল বিমানবন্দরে ভয়ানক সন্ত্রাসী হামলার হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস।

এই হুমকির বিষয়টি তখনই এলো, যখন মার্কিন সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল উইলিয়াম টেইলর জানান যে, কাবুল বিমানবন্দরে এখন ১০ হাজার মানুষ রয়েছে, তারা আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করছে।

পেন্টাগনের দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯ হাজার মানুষকে আফগান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ১৪ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত আরও ৮০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়, যাদের মধ্যে বিদেশি ও আফগান নাগরিক রয়েছে।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বুধবার জানান, আফগানিস্তানে আর ১৫শ’ মার্কিন নাগরিক অবশিষ্ট রয়েছে। সরকার তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিভাবে তাদের কাবুল বিমানবন্দরে প্রবেশ করানো যায় সে ব্যাপারে তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ব্লিঙ্কেন বলেন, তারা ৫০০ আমেরিকান নাগরিকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পেরেছেন। বাকি এক হাজার নাগরিক যাতে দিনের যেকোনো সময় কাবুল বিমানবন্দরে পৌছাতে পারে সেজন্য বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

খবরে বলা হয়, এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৫০০ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও তাদের পরিবারকে ফিরিয়ে নিয়েছে ওয়াশিংটন।