প্রধানমন্ত্রী: চন্দ্রিমায় জিয়া নেই, ওখানে গিয়ে নাটক করা হয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ নাই, ওখানে যায় কেন? ওখানে গিয়ে নাটক করা হয়। সম্প্রতি চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনার সমালোচনা করে এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ফাইল ছবি

তিনি বলেন, সেখানে (চন্দ্রিমা উদ্যান) যে জিয়া নেই, জিয়ার লাশ নেই- সেটা বিএনপি জানে না? তাহলে সেখানে গিয়ে এতো নাটক করে কেন? খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়া কি কখনো তার (জিয়া) লাশ দেখেছে? ওখানে একটা বাক্স নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানে গিয়ে তারা কেন মারামারি-ধস্তাধস্তি করে? তাদের এখনো মারামারি ধস্তাধস্তির অভ্যাস যায়নি।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (উত্তর ও দক্ষিণ) উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণ সভায় আজ বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। স্মরণ সভায় গণভবন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডক্টর আবদুস সোবহান গোলাপ।

আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, আমার মৃত্যুর কোনো ভয় নেই। কোনো আকাঙ্ক্ষাও আমার নেই। ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য ছিল— বাংলাদেশ যেন ব্যর্থ হয়ে যায়, স্বাধীনতার চেতনা যেন মুছে যায়, কিন্তু সেটা আমরা করতে দেব না। তারা এখন আর জাতির জনকের নাম মুছতে পারবে না। তারা যে ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল, সেটা আর পারবে না। আমার দেখা নয়াচীন বের হয়েছে। জাতির জনকের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা রিপোর্টও ৭ খণ্ডে বেরিয়েছে, বাকিটাও বের হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, জাতির জনক মুক্তিযোদ্ধাদের স্নেহ করতেন, মর্যাদা দিতেন। আর সে কারণেই জিয়াউর রহমানের সংসার রক্ষায় তাকে ঢাকায় এনে উপ-প্রধান বানান তিনি। অথচ সেনাবাহিনীতে উপ-প্রধান পদ ছিল না।

সরকার প্রধান বলেন, জিয়াউর রহমান যে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন তার কোনো প্রমাণ নেই। বরং খুনি মোশতাকের মূল শক্তি ছিলেন তিনি। দেশের স্বাধীনতা ও অস্তিত্বে কখনো বিশ্বাস করতেন না তিনি। তাকে ধরে এনে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্র পাঠ করানো হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরও জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। আমাদের প্রতিজ্ঞা হলো- এখন উন্নয়নশীল থেকে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ করব। বাংলাদেশে আজকে দারিদ্র্যের হার কমে ২০ শতাংশে নেমেছে। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলার হয়েছে এবং ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাদের খান প্রমুখ।