তালেবান: ৯/১১ হামলায় বিন লাদেনের জড়িত থাকার প্রমাণ নেই

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ও পেন্টাগনে  ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ ‘সন্ত্রাসী হামলার’ ঘটনা ঘটে। ওই হামলার জন্য আল-কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেন এবং তার সংগঠনকে দায়ী করে আসছে মার্কিন প্রশাসন। যদিও নিরপেক্ষরা মনে করেন, গত দুই দশকেও তাদের দাবির পক্ষে অকাট্য প্রমাণ হাজির করতে পারেনি ওয়াশিংটন।

৯/১১ হামলা ও ওসামা বিন লাদেন, ফাইল ছবি

পরবর্তীতে আফগানিস্তানে আশ্রয় নেয়া ওসামা ও আল-কায়েদা নেতাদের হস্তান্তর করতে প্রবল চাপ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তাতে সম্মত না হওয়ায় দেশটিতে সদলবলে আগ্রাসন চালান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। এতে সে সময় তালেবান সরকারের পতন হলেও দীর্ঘ লড়াই শেষে চলতি মাসে ফের কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় গোষ্ঠীটি।

এমন প্রেক্ষাপটে আজ বুধবার তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেছেন, ১/১১ হামলায় ওসামা বিন লাদেনের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই। এনবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেন তিনি।

তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ, ফাইল ছবি

ফক্স নিউজের খবরে বলা হয়, তালেবান আবারো ক্ষমতা দখল করায় আফগানিস্তান ফের সন্ত্রাসের ঘাঁটি হতে যাচ্ছে কিনা- জানতে চাওয়া হয় জবিউল্লাহর কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ২০ বছরেও ওসামা বিন লাদেনের ওই হামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ দিতে পারেনি কেউ। তারপরেও আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে কোনো দেশের বিরুদ্ধে হামলা করতে দেয়া হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি আমরা।

আফগানিস্তানে যুদ্ধ করার মতো যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বৈধতা ছিল না উল্লেখ করে তালেবান মুখপাত্র বলেন, যুদ্ধের অজুহাত সৃষ্টি করতেই ওসামা বিন লাদেনকে ওই হামলার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল। বিদেশি দখলদার হিসেবে এখন যুক্তরাষ্ট্রকে আমাদের মাটি ছেড়ে যেতে হয়েছে।

মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটের আগ্রাসনের মুখে এক মাসের মধ্যেই ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল তালেবান সরকার। এর পর ওসামা বিন লাদেনকে ধরার নামে সেই যুদ্ধ অব্যাহত রাখে পশ্চিমারা। অবশেষে ২০১১ সালের ১ মে পাকিস্তানে অ্যাবোটাবাদে এক গোপন অভিযানে বিন লাদেন নিহত হয়েছে বলে দাবি করে ওয়াশিংটন।