খামেনি: ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই

সাবেক ট্রাম্প সরকারের সঙ্গে বর্তমান বাইডেন সরকারের মূলত কোনো পার্থক্য নেই। কারণ সরকার পাল্টালেও তাদের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। মার্কিন সরকার এমন এক হিংস্র নেকড়ে, যা মাঝে মধ্যে ধূর্ত শিয়ালে পরিণত হয়। আফগানিস্তানের বতর্মান পরিস্থিতি এর একটি দৃষ্টান্ত। এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। খবর- আলজাজিরা।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ট্রাম্পের সাথে বাইডেনের কোনো পার্থক্য দেখেন না

শনিবার ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি পার্লামেন্টে আস্থাভোটে জয়লাভের পর সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি আফগানিস্তানকে অভিন্ন ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতির বন্ধনে আবদ্ধ ভাইয়ের দেশ হিসেবে অভিহিত করে সেখানকার জনগণের চলমান সমস্যাগুলোর ব্যাপারে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন।

এছাড়া গত বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে সংঘটিত আত্মঘাতি বোমা হামলার ব্যাপারে সহমর্মিতা জানিয়ে তিনি বলেন, এই সংকট-সমস্যা মূলত মার্কিনিদের সৃষ্ট, যারা দেশটিকে ২০ বছর ধরে দখলে রেখে আফগান জনগণের ওপর নানা ধরনের জুলুম চাপিয়ে দিয়েছে।

ট্রাম্প ও বাইডেনকে একই রকম মনে করে ইরানিরা

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, গত ২০ বছরে মার্কিন সরকার আফগানিস্তানের উন্নতির জন্য একটি পদক্ষেপও নেয়নি। তাই দুই দশক আগের আগের তুলনায় এখন দেশটি বিশেষ কোনো ক্ষেত্রেই এগিয়ে নেই।

আফগানিস্তানে মার্কিন সরকারকে ব্যর্থ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ২০ বছরের মার্কিন দখলদারিত্ব শেষে তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে পুরোপুরি ব্যর্থতার বোঝা নিয়ে মার্কিন সেনারা কলংকজনকভাবে আফগানিস্তানের মাটি ত্যাগ করেছে। তারা ২০ বছর আগে যেসব স্লোগান আর প্রতিশ্রুতি দিয়ে আফগানিস্তানে অভিযান চালিয়েছিল, তার একটিও পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।

আফগানিস্তান ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে আলি খামেনি বলেন, আমরা আফগান জনগণের পক্ষে রয়েছি। কারণ সে দেশের সরকার আসবে-যাবে, কিন্তু আফগান জনগণ চিরকালই থাকবে।

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি আরো বলেন, বর্তমানে তালেবান গোষ্ঠী আফগানিস্তানের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে সেখানে সর্বদলীয় সরকার গঠনের কথা বলছে। তাই কোনো দল বা গোষ্ঠীকে নয়, বরং আফগান জনগণকে সহায়তা দেয়াই হচ্ছে ইরানের মূলনীতি।