‘ইরানি স্টাইলে’ তালেবান সরকার: ঘোষণা আসতে পারে আজ

সব কিছু ঠিক থাকলে আজ শুক্রবার জুমার পরই নতুন সরকার ঘোষণা করতে পারে তালেবান। এ সরকারে চূড়ান্ত কর্তৃত্ব থাকবে সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার হাতে। প্রশাসনের শীর্ষে থাকবেন একজন প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীও। নতুন সরকারের ঘোষণা দিতে রাজধানী কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। খবর রয়টার্স ও নিউইয়র্ক টাইমস।

তালেবানের সরকার ঘোষণা হতে পারে আজই, ফাইল ছবি

তালেবান নেতা আহমাদুল্লাহ মুত্তাকির উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়, কাঙ্ক্ষিত নতুন সরকার গঠনের আলোচনা শেষ হয়েছে। শিগগিরই এক ঘোষণার মাধ্যমে তা প্রকাশ করা হবে। সেটা হতে পারে আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর।

তালেবানের সংস্কৃতি বিষয়ক মুখপাত্র আমানুল্লাহ সামানগানি জানিয়েছেন, সরকারে হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদার উপস্থিতি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তিনিই হবেন সরকারের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। এক্ষেত্রে নতুন আফগানিস্তান কিছুটা ইরানের মডেল অনুসরণ করবে। ইরানে একজন প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রিসভা থাকলেও ধর্মীয় কর্তৃত্ব থাকে সর্বোচ্চ নেতার হাতে। তিনিই নীতি নির্ধারণ করেন, প্রেসিডেন্টও তার অধীনে থাকেন। রাষ্ট্রীয় যেকোনো ইস্যুতে তার মতামতই চূড়ান্ত। তার অধীনে একজন প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট থাকবেন।

হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ও মোল্লা গনি বারাদার

এক্ষেত্রে আফগানিস্তানের নতুন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তালেবানের উপ-প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার। কাতারের দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শান্তি আলোচনায় তালেবান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বারাদার। তার নেতৃত্বে স্বাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমেই আফগান ভূখণ্ড থেকে চূড়ান্ত বিদায় নেয় যুক্তরাষ্ট্র।

নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, নতুন সরকারের বড় পদগুলোতে সিরাজউদ্দিন হাক্কানি ও তার অনুসারীরা থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। একইসাথে নতুন আফগান সরকারের অংশ হতে যাচ্ছেন তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুবও।

আফগানিস্তানে নতুন সরকার অনেকটা নিশ্চিত হলেও দেশটিতে শুরা বা কাউন্সিলের ভূমিকা ঠিক কী হবে তা এখনো পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।