ইসরায়েলের বিরোধিতা সত্ত্বেও জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি কূটনীতিক মিশন খুলছে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলের বিরোধিতা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে নিজেদের কূটনীতিক মিশন ফের খুলতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় গত বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে জানান, যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের সাথে কূটনীতিক যোগাযোগের জন্য জেরুজালেমে মার্কিন কনস্যুলেট খুলতে যাচ্ছে। রয়টার্স ও আনাদোলু।

যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনাকে ফিলিস্তিনের পক্ষ হতে স্বাগত জানানো হলেও ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ একে একটি বাজে পরিকল্পনা বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি দাবি করে বলেন, জেরুজালেম ইসরায়েলের সার্বভৌম রাজধানী এবং এটি কেবল ইসরায়েলেরই। তাই আমরা মনে করি না, এটা কোনো ভালো পরিকল্পনা হতে যাচ্ছে।

লাপিদ আরো বলেন, আমরা জানি এই বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। তবে এটা যেহেতু ইসরায়েলে হচ্ছে, সুতরাং আমরা নিশ্চিত, আমাদের কথা তারা মনোযোগ দিয়ে শুনবে।

ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ

এদিকে ইসরায়েলের এই আপত্তিকে আগে থেকেই অনুমিত ছিল বলে মন্তব্য করেন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওয়াসেল আবু ইউসেফ। তিনি বলেন, তারা স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে এবং যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সমাধান আটকাতে চাইছে।

মার্কিন দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন মে মাসে ঘোষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমে আবারো কনসুলেটর খোলার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে। এর চেয়ে বেশি কিছু আর আমরা জানাতে পারছি না। যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমে তাদের দূতাবাস সরানো ও শহরটিকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত বদলাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

আগেও জেরুজালেমে মার্কিন কনস্যুলেট দপ্তর থেকে ফিলিস্তিনের সাথে কূটনীতিক যোগাযোগ রক্ষা করা হতো। ২০১৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে আনার পর এ কনস্যুলেট দপ্তর বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল পশ্চিম তীর ও গাজার পাশাপাশি জেরুজালেমের পূর্ব অংশও দখল করে নেয়। তারা পুরো জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী দাবি করে। তাদের এই দাবি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়।