পৃথিবীতে উন্মুক্ত হল মঙ্গলের সবচেয়ে বড় পাথর

মঙ্গল গ্রহ থেকে পৃথিবীতে ছিটকে পড়া সবচেয়ে বড় পাথরটি প্রথমবারের উন্মুক্ত করা হয়েছে। টাওডেন্নি ০০২ নামে এ পাথরটির ওজন ৩২ পাউন্ড বা ১৪.৫ কেজি ও প্রস্থ ১০ ইঞ্চি। ১ সেপ্টেম্বর বেথেলের খনি ও রত্ন জাদুঘরে পাথরটি উন্মুক্ত করা হয়। এ জাদুঘরে ৬ হাজার ভিনগ্রহের পাথর সংরক্ষিত রয়েছে। চাঁদ থেকে সংগৃহীত সবচেয়ে বড় পাথরটিও এখানেই আছে। লাইভ সায়েন্স।

উন্মুক্ত হল মঙ্গলের সবচেয়ে বড় পাথর

মঙ্গলের ওই পাথরটি একটি বড় গ্রহাণু বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট। উল্কাপিণ্ড হিসেবে পাথর খণ্ডটি পৃথিবীতে পড়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকোর উল্কাবিষয়ক ইনস্টিটিউটের পরিচালক কার্ল আগি। তিনি লাইভ সায়েন্সকে বলেন, একটি বড় শক্তিবর্ধক বিস্ফোরণের মাধ্যমে পাথর খণ্ডটি মঙ্গল থেকে ছিটকে পড়ে।

কার্ল আগি বলছেন, মঙ্গলগ্রহ থেকে পৃথিবীতে আসা এটি সচেয়ে বড় পাথর। এটি যে মঙ্গলের পাথর তা পরীক্ষায় প্রমাণিত। খবরে বলা হচ্ছে, পৃথিবীতে মঙ্গলগ্রহের প্রায় ৩০০টি পাথর রয়েছে। এগুলোর মোট ওজন ২২৭ কেজি। তবে এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো ভেঙ্গে যায়, কিংবা পরে সংগ্রহকারীরা বিক্রি করে ফেলে। মঙ্গলগ্রহ থেকে ছিটকে পড়া উল্কা হিসেবে আসা পাথরের সংখ্যা ১০০ থেকে ১৫০টি হবে।

উন্মুক্ত হল মঙ্গলের সবচেয়ে বড় পাথর

টাওডেন্নি ০০২ প্রথম আবিষ্কার হয় মালির লবন খনির নিকটে। একজন স্থানীয় পাথর সংগ্রাহক এটি প্রথম শনাক্ত করেন। গত এপ্রিল মাসে ওই জাদুঘর কর্তৃপক্ষ পাথরটি তাদের সংরক্ষণে নিয়ে নেয়। তবে পাথরটি পতনের সময়ের কোনো সাক্ষী নেই।

তবে কার্ল আগি মনে করছেন পাথরটি সম্প্রতি অর্থাৎ গত ১০০ বছরের মধ্যে পৃথিবীতে ছিটকে পড়ে। কারণ পাথরটি এখনও তরতাজা।

মালিতে পাথরটি পাওয়ার পর মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ একটি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষায় প্রমাণিত হয় পাথরটি মঙ্গল গ্রহ থেকে এসেছে। মঙ্গলের পাথরে বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে, যার মাধ্যমে এটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়। পাথরের গায়ে খনিজ উপাদান বিশ্লেষণ করে বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

তবে আগি বলছেন, মঙ্গল থেকে আসা আরও বড় পাথর হয়তো পৃথিবীতে আছে, হয়তো তা আবিষ্কারই হয়নি। পাথরটি হয়তো সাহারা মরভূমির বালুর নিচে অথবা অ্যান্টার্কটিকার বরফের নিচে কিংবা মহাসাগরের নিচে পড়ে থাকতে পারে।