পাকিস্তানকে আশ্বস্ত, ভারতকে হুঁশিয়ারি তালেবানের

আফগানিস্তান এবং দেশটির জনগণের প্রতি দীর্ঘদিনের অবদানের জন্য পাকিস্তানের প্রশংসা করেছে তালেবান। অন্যদিকে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বলেছে, নতুন তালেবান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভারত যদি কোনো বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, তাহলে সেটি নয়াদিল্লির জন্য মোটেই সুখকর হবে না। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও আনন্দবাজার।

রিবিল্ডিং আফগানিস্তান টুগেদার সম্মেলনে কথা বলছেন জবিউল্লাহ মুজাহিদ

পাক-আফগান ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘রিবিল্ডিং আফগানিস্তান টুগেদার’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাতের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী দিনগুলোতে শান্তি প্রক্রিয়া, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাকিস্তান তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবে। অতীতে পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের সহায়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানের জন্য কোনো হুমকি থাকবে না।

এ সময় তালেবান মুখপাত্র চীন, রাশিয়া ও তুরস্কের ব্যাপারেও তাদের দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে পুনর্র্নিমাণের প্রচেষ্টায় চীন তাদের ‘প্রধান অংশীদার’ হবে। দেশটি আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করতে এবং আফগানিস্তানকে পুনর্গঠনে সহায়তা করতে প্রস্তুত। রাশিয়াকে এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কাবুল মস্কোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে।

তালেবান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বিষয়ে ভারত সাবধান করে দেন গুলবদ্দিন হেকমতিয়ার

এদিকে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার-বিরোধী নেতাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া নিয়ে ভারতের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার। তালেবান সরকারে অংশ না নিলেও পূর্ণ সমর্থন দেয়া হেকমতিয়ার বলেন, নয়া তালেবানি শাসনের বিরুদ্ধে ভারত যদি কোনো ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে’ সামিল হয়, তবে তা নয়াদিল্লির পক্ষে মোটেই সুখকর হবে না।

তালেবান কাবুল দখল করার পর আফগান পার্লামেন্টের অনেক এমপিই ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার বলেন, বর্তমান আফগান সরকার বিরোধী নেতাদের ভারত যদি রাজনৈতিক আশ্রয় দেয় এবং সেই সব নেতা যদি ভারতের মাটিতে অবস্থান করে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, তবে তালেবানও কিন্তু পাল্টা জবাব দেবে।

ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে তিনি বলেন, আফগানিস্তানে সাবেক সোভিয়েত ও আমেরিকার আগ্রাসনকে বরাবরই সমর্থন করে এসেছে ভারত। তাদের এই কাবুল-নীতি এবার বদলানো উচিত। দীর্ঘ চার দশকের এই ভুল শুধরে গোটা পরিস্থিতি নতুন করে বিবেচনা করার জন্য নয়াদিল্লির প্রতি আহ্বানও জানান গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার।