আপনি পড়ছেন

পাকিস্তানের সংখ্যালঘুরা দেশটির আদমশুমারিতে তাদেরকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। পাকিস্তানে ২০১৭ সালে ষষ্ঠ আদমশুমারি ও ঘর গণনা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। শুমারির রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় গত মে মাসে। এই রিপোর্ট প্রকাশের পর ওই অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

flag pakistan 1

পাকিস্তান টুডের এক খবরে বলা হচ্ছে, শুমারির প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে মুসিলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৯৬.৪৭ ভাগ, সেখানে সংখ্যালঘু অন্য ধর্মাবলম্বীরা কমে গেছে ভয়ানকভাবে। শুমারিতে হিন্দু জনসংখ্যা মাত্র ১.৩ শতাংশ দেখানো হয়েছে। এছাড়া খ্রিস্টান ও আহমাদিয়া ০.৪১ শতাংশ ও অন্যান্য মাত্র ০.০২ শতাংশ উল্লেখ করা হয়েছে।

খবরে বলা হচ্ছে, এর আগের আদমশুমারি হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। ওই শুমারিতে মোট জনসংখ্যা ছিল ১৩২.৩ মিলিয়ন। আর ২০১৭ সালের আদমশুমারিতে সেই জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০৭.৬৮ মিলিয়নে।

করাচি সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি নীল কেশব বলছেন, ১৯৯৮ সালের শুমারিতে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল প্রায় দুই মিলিয়ন। কিন্তু ২০ বছর পরে এই সংখ্যা মাত্র ৩.৫ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। তার বক্তব্য, হিন্দুদের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হওয়ার কথা, কারণ তাদের অধিকাংশই গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে।

মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে হারে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে সেই হারে হিন্দু জনসংখ্যার বৃদ্ধি শুমারিতে অযৌক্তিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এটা উদ্বেগের বিষয়। শুমারির প্রতিবেদন অনুযায়ী বোঝা যায়, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে।

সেন্টার ফর সোস্যাল জাস্টিসের পরিচালক পিটার জেকব বলছেন, অনেক খ্রিস্টান পাকিস্তান ত্যাগ করেছে এটা সত্য। কিন্তু আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাতে ২০ বছরে পাকিস্তানে ৫ লাখ খ্রিস্টান জনসংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার কথা। কিন্তু শুমারিতে সে চিত্র নেই।

ফোরম্যান খ্রিস্টিয়ান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আবদিয়া এলভিন বলেছেন, ‘জনগননা প্রতিবেদনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিয়ে সংরক্ষণশীলতার বিষয়টি সবারই জানা। সংখ্যালঘুরা কখনোই শুমারির ফলাফল গ্রহণ করেনি, যা তাদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে। সম্পদের নীতি ও বন্টন সুষ্ঠ হয়নি। শুমারির কারণে সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব সংকট সৃষ্টি হয় ও রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহারের দিকে ধাবিত হয়।’

বর্তমানে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ৩৩টি ও সিনেটে চারটি আসন সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত। সংখ্যালঘুদের দাবি, পার্লামেন্ট ও সিনেটে তুলনামূলক কম সংখ্যক আসন বরাদ্দের প্রচেষ্টা হিসেবেই শুমারিতে তাদের কম গণনা করা হয়েছে।

সূত্র: এএনআই

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.