তালেবান সরকারে প্রাধান্য পাচ্ছেন দোহা অফিসের নেতারা

তালেবান সরকারে নারী সদস্য থাকছে না বলে খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, তালেবান দেশ পরিচালনায় আজ শনিবার যে শুরা কাউন্সিল ঘোষণা করবে তার ৮০ ভাগ সদস্য থাকবেন দোহা কার্যালয়কেন্দ্রিক নেতাদের মধ্য থেকে। সিএনএন-নিউজ এইটটিনের বরাত দিয়ে খবরটি দিয়েছে ফার্স্টপোস্ট।

কাতারের দোহায় অবস্থিত তালেবানের কার্যালয়

খবরে বলা হচ্ছে, তালেবান নতুন সরকার একপ্রকার চূড়ান্ত করে ফেলেছে। এতে তালেবানের দোহা কার্যালয়কেন্দ্রিক নেতাদের অধিকাংশরাই স্থান পাচ্ছেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় একটি শুরা কাউন্সিল গঠন করা হবে। এই কাউন্সিল দেশটির সুপ্রিম কর্তৃত্ব নিয়ন্ত্রণ করবে এবং এতে কোনো নারী সদস্যকে রাখা হচ্ছে না বলেও খবর পাওয়া যায়।

শুরা কাউন্সিলে তালেবানের সিনিয়র নেতারা স্থান পাবেন। এছাড়া থাকবেন উপজাতীয় প্রভাবশালী নেতারাও। তালেবানের রাজনৈতিক শাখার প্রধান করা হচ্ছে মোল্লা আবদুল গানি বারাদারকে। সে অনুযায়ী সরকার প্রধান হিসেবে তাকে দেখা যেতে পারে।

আবদুল গানি বারাদার

২০১০ সালে তালেবান কাতারের রাজধানী দোহায় তাদের রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপন করে। সেখানে তারা আফগান সরকারের সঙ্গে নানা সমঝোতা বৈঠক করে আসছিল বছরের পর বছর। তাছাড়া বহির্বিশ্বের নেতাদের সঙ্গেও তালেবান নেতারা দোহা কার্যালয়ে বৈঠক করেন।

আর এই কার্যালয় ঘিরে যাদের যাতায়াত তারাই তালেবানের শীর্ষ নেতা। তাদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন মোল্লা আবদুল গানি বারাদার। মূলত ২০১৩ সালের পর থেকে যেসব তালেবান সিনিয়র নেতারা দেশে ফিরতে পারেননি তারা এতদিন দোহায় অবস্থান করেন। ঘানি সরকারের দৃষ্টিতে তারা ছিল নির্বাসনে।

খবরে বলা হচ্ছে, তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন সিনিয়র নেতা শের আব্বাস স্ট্যানিকজাই। বহির্বিশ্বে তিনিই সবচেয়ে বেশি পরিচিত এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। আফগানিস্তানর সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ শুরা কাউন্সিলে স্থান না পেলেও তারা উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করতে পারেন।

খবরে বলা হচ্ছে, সরকারের ৫০ ভাগে থাকবে হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতারা। তাছাড়া তালেবান সরকারে স্থান পাচ্ছেন আফগানিস্তানের জনপ্রিয় নেতা গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার। তবে তার অবস্থান নিচের দিকে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

নতুন সংবিধান প্রণয়নের আগ পর্যন্ত এই সরকার দেশ পরিচালনা করবে। গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান।