ফ্লোরিডায় নারীসহ ৪ জনকে গুলি করে হত্যা

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এক নারীসহ ৪ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। গতকাল রোববার বন্দুকযুদ্ধের সময় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের পর মৃত অবস্থায়ও নারীটি তার শিশুকে জড়িয়ে ধরেছিল। সেখানে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তি বলছিল, তারা যুদ্ধের জন্য তৈরি।

হামলা হওয়া এলাকায় অবস্থান নিয়েছে পুলিশ

পোক কাউন্টির প্রধান কর্মকর্তা গ্রাডি জাড বলছেন, বুলেটপ্রুভ পোশাকে পুরো শরীর ঢাকা একজন অপরিচিত লোককে দেখা গেছে। যখন সে লেকল্যান্ড হোমের বাইরে আসে তখন তার শরীরে বর্ম পরা ছিল। ঘটনা সেখানেই ঘটে।

দুই রাউন্ড গুলির পর বন্দুকধারী বলেছিল, আর যদি গুলি না করতে হয় তাহলে বেরিয়ে আসো। জাড বলছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে আত্মসমর্পণের জন্য। পরে বাড়ির ভেতরে দেখা গেছে ১১ বছর বয়সী একটি বালিকাকে, যার শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন। রোববার এক প্রেস কনফারেন্সে জাড বলেন, পরে দেখা যায় বাড়ির ভেতরে আরও তিনটি মরদেহ পড়ে রয়েছে।

হামলাকারী সন্দেহে ব্রায়ান রিলে নামক এই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে

যখন আমেরিকা বিশ্বব্যাপী তাদের শক্তি প্রদর্শনে ব্যর্থ হচ্ছে, তখন ভেতরে ভেতরেও রয়েছে এক ব্যর্থ আমেরিকার চিত্র। এই চিত্র হলো বন্দুকযুদ্ধে মানুষ হত্যা। যুক্তরাষ্ট্রে এই বন্দুকধারীদের হাতে শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে বছরের পর বছর। কিন্তু এর সমাধান মিলছে না। অস্ত্র আইনের পরিবর্তনের দাবি উঠলেও তা কোনো সরকারই অজানা কারণে বাস্তবায়ন করে না।

নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, বিশ্ব যখন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে এক উন্নত জীবনমানের প্রত্যাশায় তাকিয়ে আছে, তখন খোদ যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে হত্যার এই চিত্র দেখে মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এ কোন আমেরিকা? যে আমেরিকা দেখিয়েছে সময়ের পরীক্ষিত গণতন্ত্র, শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতি, জনপ্রিয় সংগীত ও সিনেমা- তখন বন্দুকধারীদের হামলা ও মানুষ হত্যায় সবকিছু ম্লান করে দেয়।

এই হামলাগুলোর মূল কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, আমেরিকান সমাজ স্বভাবজাতভাবেই সংঘাতপূর্ণ। এখানকার বর্ণবাদী মনোভাব সমাজের মধ্যে ভাঙন ধরিয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের পরিচর্যায় যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।