ই-অরেঞ্জের ‘মালিক’ ইন্সপেক্টর সোহেল বরখাস্ত

ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জের অন্যতম ‘মালিক’ বনানী থানার পরিদর্শক শেখ সোহেল রানাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ই-অরেঞ্জের মাধ্যমে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ এবং ভারতে পালিয়ে গিয়ে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে এই বিভাগীয় শাস্তির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বিএসএফের হাতে আটকের পর সোহেল রানা

ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, গুলশান থানা পুলিশ শেখ সোহেল রানার বিরুদ্ধে একটি রিপোর্ট করেছে, সেখানে অভিযোগগুলো প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তার স্থলে, অর্থাৎ বনানী থানার পরিদর্শক পদে ইতোমধ্যেই নতুন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ই-অরেঞ্জের অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে গ্রাহকদের আন্দোলনের পর বেশ কয়েকদিন ধরেই আত্মগোপনে ছিলেন শেখ সোহেল রানা। অবশেষে গত শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

ই-অরেঞ্জের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন মাশরাফি

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকরা যখন আন্দোলন শুরু করে, তখন তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিভিন্ন পণ্যের অর্ডারের বিপরীতে গ্রাহকরা যে অর্থ জমা দিয়েছেন, সেই অর্থ রীতিমতো লোপাট করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির দুটি ব্যাংক হিসাব থেকে বিভিন্ন সময় তুলে নেওয়া হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সোহেল রানারও নাম রয়েছে, তিনি নিয়েছেন আড়াই কোটি টাকা।

তদন্তে যতবারই ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সোহেল রানার নাম উঠে এসেছে, ততবারই তিনি অস্বীকার করেছেন। এক পর্যায়ে পালিয়ে গেলে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। তদন্তে বেরিয়ে আসে, সোহেল রানা পারিবারিকভাবেই এই ব্যবসা শুরু করেন, তবে নিজেকে কখনোই সামনে আনেননি। মূলত নিজের বোন আর ভগ্নিপতিই ব্যবসার দেখভাল করতেন। তাদের দুজনকে আগেই আটক করা হয়েছে।